আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত বছরের নভেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা রাজ্যের টোইলি কাউন্টি শহরে ৭৫ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ খোঁজে পায় স্থানীয় পুলিশ। এরপর নেওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন।
এই ঘটনার পর স্থানীয় পুলশ ওই নারীর মারা যাওয়ার পেছনে আসলে কোনো কারণ আছে কি-না তা বের করার জন্য তার বাড়িতে খোঁজ শুরু করেন। এসময় ওই নারীর বাড়ির ফ্রিজে খোঁজ মেলে তার স্বামী পল এডওয়ার্ড ম্যাথারসের মরদেহ।
ম্যাথারসের টার্মিনাল ক্যান্সার ছিল। তার মৃত্যুর এটিই আসল কারণ কি-না তা পুলিশ বের করতে পারেনি। তদন্তকারীরা মনে করেন, ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই বছরেরই ৮ মার্চের মধ্যে কিছু একটা হয়েছিল। তরপর শুরু আরো তদন্ত।
ম্যাথারসের মরদেহ পাওয়ার সময় পুলিশ দেখেতে পায়, তার মাথা আবর্জনা ফেলার ব্যাগ দিয়ে মোড়ানো ছিল। গলায় বাঁধা ছিল ফিতা। এই ব্যাগটি কখন ওই বাড়িতে নেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে নিশ্চিত নয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আর ম্যাথারসের মরদেহ কে বা কারা ফ্রিজে রেখেছিল; সেই প্রশ্নেরও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে পাওয়া যায় একটি চিরকুট।
ম্যাথারসের মৃত্যুর জন্য নিজের স্ত্রীর জেয়ান্নে সোরন-ম্যাথারসকে কোনোভাই দায়ী করেননি তিনি। চিরকুটি তিনি লিখেন, আমি এটি জানতে চাই, জেয়ান্নে আমার মৃত্যুর জন্য কোনোভাবেই দায়ী নয়। আমার হৃদপিণ্ড নিয়ে আমি পুরোপুরি সচেতন। লর্টাবস বা হাইড্রোকডোন (ওষুধ) শেষ পর্যন্ত আমার হৃদপিণ্ডের কাজ বন্ধ করে দিতে পারে। তবে আমি ইচ্ছেকৃতভাবে জেয়ান্নেকে ছেড়ে যেতে প্রস্তুত না। একসময় সে আমার আত্মহত্যাচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছিল।
এই ঘটনার রহস্য এখনো উন্মচিত হয়নি। আসলে কি হয়েছিলে ওই বাড়িতে, কখন মারা যান পল এডওয়ার্ড ম্যাথারস; সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। উত্তর পাওয়া যায়নি জেয়ান্নে সোরন-ম্যাথারসের মৃত্যুর কারণ নিয়েও। তবে চলছে তদন্ত। টোইলি কাউন্টি পুলিশের সার্জেন্ট জেরেমি হানসেন বলেন, আমারা কখনো এসব মৃত্যুর রহস্য হয়তো জানতে পারবো না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।