জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান। তার কুনজর ছিল দক্ষিণখানের বাসিন্দা আজহারের স্ত্রীর প্রতি। ঘটনা জানার পর ওই ইমামকে নিষেধ করতে মসজিদে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আজহারের গলায় আঘাত করেন ইমাম।
এখানেই শেষ নয় মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আজহারের মরদেহ ছয় টুকরা করা হয়। তারপর মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহের টুকরোগুলো লুকিয়ে রাখেন ইমাম। তিনি পুরো কাজটি করেন দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদে তার শয়ন কক্ষে।
এদিকে ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আজহারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাওলানা মো. ইমাম আব্দুর রহমানকে (৫৪) আটক করে র্যাব।
আজ মঙ্গলাবার বিকেলে কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল মুত্তাকিম।
এ সময় তিনি বলেন, চলতি মাসের ১৯ তারিখ রাতে মসজিদে ইমামের কক্ষে গিয়েছিলেন আজহার। সেখানে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আজহারকে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়।
বাকবিতণ্ডা কী নিয়ে হয়েছিল জানতে চাইলে এ ব্যাপারে র্যাব-১ এর অধিনায়ক আব্দুল মোত্তাকিম বলেন, ‘ইমামের দাবি- আজহার অভিযোগ করছিল তার স্ত্রীর দিকে কুনজর রয়েছে। কিন্তু আজহারের স্ত্রীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ইমাম।’
এ হত্যাকাণ্ডে নিহতের স্ত্রী জড়িত কি-না তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার একদিন আগে স্ত্রী আছমা তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে চলে যায়। তিনি ঘটনার আগেরদিন থেকে টাঙ্গাইলেই ছিলেন কি-না এবং হত্যায় তার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বলছিলেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল মুত্তাকিম।
এর আগে ২৪ মে মসজিদের সিঁড়িতে রক্তের দাগ ও সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। আজহার ১৯ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনার অনুসন্ধান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে র্যাব ইমামকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা জানতে পারে। এ সময় অভিযুক্তের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি চাকু ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



