জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় হাত-মুখ বেঁধে গ্যাসের আগুনের লোহার খুন্তি গরম করে ছ্যাঁকা দিয়ে স্ত্রী সমাপ্তি সরকারের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শুধু তাই নয়, আহত গৃহবধূকে চিকিৎসা না দিয়ে ঘরে আটকে রাখা হয়।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ির লোকজন গিয়ে সমাপ্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
সমাপ্তি উপজেলার বাহাদুপুর গ্রামের সদানন্দ সরকারের মেয়ে এবং স্বামী বিপুল বালা উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রামের সদানন্দ বালার ছেলে। দুই বছর আগে তাদের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক বছরের শিশুসন্তান রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সমাপ্তি জানান, বিয়ের পর থেকেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিপুল ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে ঝগড়াঝাটি হলে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এজন্য পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমি যতটা পারি নীরব থাকার চেষ্টা করি। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে বিপুল ও তার ভাইয়ের স্ত্রী ববিতার সাথে পারিবারিক বিষয়ে নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় বিপুলকে বাধা দিলে বিপুল ও তার পরিবারের লোকজন আমার হাত ও মুখ বেঁধে মারধর করে। এক পর্যায়ে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে তাতে লোহার খুন্তি গরম করে দু-হাত ও পিঠে ছ্যাঁকা দেয়। ছ্যাঁকা দেয়ার সময়ও মারধর করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।
সমাপ্তির ভাই সুশান্ত সরকার বলেন, প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সমাপ্তিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বামীর পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করার সাহস পাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে অভিযোগ দিলে মামলা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।