রামিম হাসান, ঝিনাইদহ: যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মসজিদের এক খতিবের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সন্ধায় এ অভিযোগে স্ত্রীসহ সবাই যখন থানাতে তখন অভিযুক্তের সাথে কথা হলে ফরিদপুরের কামারখালীতে ওয়াজ মাহফিলে যাচ্ছিলেন।
ঘটনাটি ঝিনাইদহের শৈলকুপার শেখপাড়াতে। অভিযুক্ত মুফতি মাহফুজুর রহমান ওরফে হাকিমপুরী হুজুর শেখপাড়া বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব। তিনি উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ও ইসলামী বিশাববিদ্যালয়ের আল-ফিকাহ এন্ড লিগাল স্ট্যাডিজ বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র।
নির্যাতিতা স্ত্রী হাফেজা ফাতেমা তাসনিম ঐশি (২২) জানান, ‘গত ৫ বছর আগে শৈলকুপা হাকিমপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মাওলানা মুফতি মাহফুজুরের সাথে তার বিয়ে হয়। তিনি শেখপাড়া একটি মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও বর্তমানে শেখপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও ধর্মীয় বক্তা। বিয়ের পর থেকেই তিনি প্রায়ই তার উপর শারীরিক নির্যাতন ও টাকা দাবি করে আসছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বাইরে থেকে এসে তার স্বামী তাকে বেদম প্রহার করেন এবং তার বাবা-মা’র কাছ থেকে টাকা আনতে বলেন বলে জানান তিনি।
ঐশি তার শারীরিক নির্যাতন ও যৌতুকের কথা পরিবারের কাছে জানালে বাবা আজিজুর রহমান ও মাতা নাসরিন আক্তার মেয়েকে দেখতে আসলে তাদেরও মারপিঠ করেন মাওলানা মানফুজুর রহমান।
এ ঘটনায় তিনি শনিবার দুপুরে শৈলকুপা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান। ফাতেমা তাসনিম কুষ্টিয়া ইবি থানার শান্তিডাঙ্গা গ্রামের আজিজুর রহমানের মেয়ে।
এ ঘটনায় মাওলানা মাহফুজুর রহমান হাকিমপুরী জানান, তিনি শেখপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় আলোচনা করে থাকেন। তার স্ত্রীর সাথে বৃহস্পতিবার কলহ হলেও তাকে তিনি তেমনটা মারেননি। একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল।
শুক্রবার কামারখালিতে ওয়াজ করতে গিয়েছিলেন এবং শনিবার বাড়িতে ফিরে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বিষয়ে তিনি একটি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।