আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একজন বা দু’জন নয়, মোট ১৬ জন নারীকে খুনের অভিযোগ ছিল মাইনা রামুলু নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তা সত্ত্বেও জেলের বাইরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ওই সিরিয়াল কিলার। এমনকি তারপরেও দু’জন নারীকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হায়দরাবাদের সেই সিরিয়াল কিলারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুন ছাড়াও লুঠপাটের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, রাচাকোণ্ডা পুলিশ এবং নর্থ জোন কমিশনারের টাস্কফোর্সের কর্মকর্তাদের যৌথ অভিযানে মঙ্গলবার মাইনা রামুলু নামের ৪৫ বছর বয়সি ওই সিরিয়াল কিলারকে গ্রেফতার করে। রামুলুর বিরুদ্ধে এর আগে ২১টি মামলা ঝুলছিল, যার মধ্যে ১৬টি খুনের মামলা, ৪টি সম্পত্তি সংক্রান্ত জালিয়াতি এবং পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো মামলাও ছিল।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যে ১৬টি খুনের মামলা ছিল রামুলুর বিরুদ্ধে, তাতে নিহতেরা সকলেই নারী। সেই মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্তও হন রামুলু। তারপরেও তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে জেলের বাইরে বেরিয়ে আসেন তিনি। সম্প্রতি সিদ্দিপেট কমিশানেরেটের অন্তর্গত মুলুগু থানা এবং গটকেশ্বর থানায় দাখিল হওয়া ২টি খুনের মামলায় তার নাম উঠে আসে। এরপর তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
হায়দারাবাদ সিটি পুলিশের কমিশনার অঞ্জনি কুমার জানিয়েছেন, সাঙ্গা জেলার আরুতলা গ্রামের বাসিন্দা রামুলু ২১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পর কয়েক দিন না যেতেই স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যায়। সেই থেকেই নারীদের প্রতি তার মনে বিদ্বেষ জন্ম নেয়। যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে নারীদের খুশি করার টোপ দিত সে। তার পর নেশা করিয়ে ওই নারীদের খুন করত। খুন করে নিহতদের টাকা, গয়না এবং মূল্যবান জিনিসও সে আত্মসাৎ করত বলে জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
অঞ্জনি কুমার আরো জানিয়েছেন, ৩০ ডিসেম্বর সকাল থেকে স্ত্রী নিখোঁজ বলে ১ জানুয়ারি এক ব্যক্তি অভিযোগ জানান। পরে, ৪ জানুয়ারি রেললাইনের কাছ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার আগে সাইবারাবাদের বলানগরেও এক নারীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ২টি ঘটনাতেই রামুলুর যুক্ত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।