জামালপুর সদরের রঘুনাথপুরে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। পর স্বপদে বহাল রয়েছেন জামালপুর সদরের
অভিযুক্ত মাজেদুল ইসলাম ওই গ্রামের আবদুল মোতালেব মাস্টারের ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করেন মাজেদুল ইসলাম। পরে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর হুঁশিয়ারি দেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং মাদক সেবন করিয়ে বারবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিনি। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ বছরের মার্চে তাকে নিজ খরচে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেন মাজেদুল। কিন্তু বিয়ের দুই মাস পর ধর্ষণের শিকার কিশোরীর সন্তান হলে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হয়। পরে গ্রামবাসী মাজেদুলের বাড়ি ঘেরাও করে বিচারের দাবি করে। ১১ মে ওই কিশোরী মাজেদুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ৯ জুন মাজেদুল জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায়।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, জামিনে বের হয়ে মাজেদুল তাকে বিয়ের নাটক সাজাচ্ছেন। প্রভাবশালীদের মাধ্যমে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার পাঁয়তারা করছেন তিনি।
জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, মাজেদুল ইসলামের ঘটনা জানিয়ে ১৭ জুন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জামালপুর সদর থানার এসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্ট, মৃত নবজাতকের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়াও ভিকটিম, মাজেদুল ও নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টে ধর্ষণ প্রমাণিত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।