তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক কিশোর অপর কিশোকে বাড়ি হতে ডেকে নিয়ে স্পিডের মধ্যে বিষ মিশিয়ে খেতে দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন কিশোর তাসিম হোসেন নামে এক কিশোরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।
সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুস সবুর রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আইনের সংঘাতে জড়িত ধৃত কিশোর তাসিম হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ঝিকরগাছা এমএল স্কুলে লেখাপড়া করে। তাসিন হোসেন তার বন্ধু। এক সাথে খেলাধুলাসহ চলাফেরা করে। তাদের দু’জনের মধ্যে হঠাৎ বিরোধ দেখা দেয়। তাসিন হোসেন তাকে ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে।
শনিবার ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাসিন হোসেন আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ডেকে নিয়ে যায়। তাসিন দোকান হতে একটি স্পিড ক্যান কিনে তারা তেঘরিয়া সরকারী স্কুলের মোড়ে বাবুলের দোকানের সামনে রাত ১০ টার পরপর যায়। সেখানে তাসিন হোসেন স্পিড ক্যান হতে অর্ধেক খেয়ে বাকী টুকুর মধ্যে রাতের আধাতে ফুরাডান বিষ মিশিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে খেতে দেয়।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষ যুক্ত স্পিড খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাসিন হোসেন প্রতিশোধ হিসেবে হত্যা করার কথা বলে মারপিট শুরু করে। এদিকে রাত আব্দুল্লাহ আল মামুনের ফুফুর ছেলে গোলাম কাদেরের ছেলে রনি হোসেন আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ডেকে আনার জন্য খুঁজতে থাকে। তেঘরিয়া উত্তর পাড়া জামে মসজিদের পিছনে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে তাসিন হোসেন কিলঘুষি মারছে দেখে সে চিৎকার দেয়।
আব্দুস সবুরসহ স্থানীয় লোকজন দ্রুত এগিয়ে গিয়ে তাসিন হোসেনকে আটক করে। আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি জানালে তাকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাসিনকে পুলিশে সোপর্দ করে। রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।