জনপ্রিয় বিজ্ঞানী আর্থাস একজন ব্রিটিশ লেখক যিনি স্পেস এলিভেটরে করে মহাশুন্যে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি শুধু বলেই যাননি বরং এর বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তার ব্যাখ্যা অনেক বিজ্ঞানীদের আকৃষ্ট করেছে। এটা কল্পনার বিষয় মনে হলেও অতীতে অনেক অসম্ভব কিছু বাস্তবে সম্ভব করে দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
জাপানের একটি সংস্থা মহাকাশে যাওয়ার জন্য স্পেস এলিভেটর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ এটি তৈরি করার কাজ শুরু করার টার্গেট নিয়েছে তারা। জাপানের ওই সংস্থা ওভায়েসি কর্পোরেশন মনে করে যে, মানুষ নিরাপদে ও সহজে মহাকাশে যেতে পারবে স্পেস এলিভেটর ব্যবহার করে।
পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে মহাশূন্য পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এই স্পেস এলিভেটর। তড়িৎ চুম্বকীয় পদার্থ, মানুষ এবং ভারী মালামাল পৃথিবী থেকে বহন করে নিয়ে যাওয়া হবে মহাশূন্যে। ২০৫০ সালের মধ্যে এটি নির্মাণে কাজ শেষ করতে আগ্রহী তারা।
স্পেস এলিভেটর নির্মাণ করতে পারলে মহাকাশে যাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে এবং খরচ অনেকটাই কমে যাবে। কেননা রকেটে করে মহাকাশে যাওয়ার খরচ অনেক বেশি। রকেটে করে পণ্য পাঠাতে খরচ হয় প্রায় ২২ হাজার ডলার। প্রায় ৯০ শতাংশ কম খরচ করে স্পেসে এলিভেটর দিয়ে সব কাজ করে ফেলা সম্ভব হবে।
আকাশে দূরবর্তী অভিযানের জন্য বন্দর হিসেবে অথবা হাব হিসেবে স্পেস এলিভেটরকে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। কার্বনের ৩৬ হাজার কিলোমিটারের লম্বা ক্যাবল দিয়ে স্পেস এলিভেটর নির্মাণ করা হবে। এর একাংশ থাকবে পৃথিবীর পৃষ্ঠতে এবং অন্য অংশ থাকবে কক্ষপথে।
এটির অন্য প্রান্ত মহাকাশ স্টেশন এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ভারসাম্য যেন রক্ষা করা সম্ভব হয় সে ব্যবস্থা রাখা হবে। এলিভেটর হিসেবে ব্যবহৃত হবে বিদ্যুৎ চালিত রোবোটিক গাড়ি। এটি নির্মাণ করতে অনেক বেশি খরচ হলেও একবার নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে অনেক সুফল মিলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।