স্পোর্টস ডেস্ক: স্পোর্টিং লিসবনের সাথে গোলশুন্য ড্র করেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে কাল শেষ ১৬’র দ্বিতীয় লেগে কোন গোল না পেলেও পর্তুগীজ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথম লেগেই মূল কাজটুকু সেড়ে রেখেছিল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। তিন সপ্তাহ আগে পর্তুগালের মাঠে ৫-০ গোলের বড় জয়েই পেপ গার্দিওলার দলের শেষ আট নিশ্চিত হয়েছে। এনিয়ে টানা পঞ্চম মৌসুমে শেষ আটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো সিটিজেনরা।
ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেছেন, ‘এটা খুবই ভাল লক্ষন। গত এক দশকে ক্লাবটি ধীরে ধীরে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে গেছে। প্রতিটি মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলে প্রথমে শেষ ১৬ নিশ্চিত করার পর এখন সিটি নিয়মিত শেষ আটে জায়গা করে নিচ্ছে।’
গত পাঁচ মৌসুমে চতুর্থ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের পথে দারুনভাবে এগিয়ে চলেছেন সিটি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটা এখনো অধরাই রয়ে গেছে। গতবারও ফাইনালে চেলসির কাছে পরাজিত হয়ে হতাশ হতে হয়। গার্দিওলা বেশ ভালভাবেই জানেন ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় শিরোপা জয়ের মাধ্যমেই তার আসল কৃতিত্বটা বিচার করবে ম্যানচেস্টার। যদিও তিনি বিশ্বাস করেন নিয়মিত শেষ আটে খেলাটাও কম কিছু নয়। এ সম্পর্কে সিটি বস বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা যথন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করি ঐ রাতে আমরা সবাই তা উদযাপন করি। কারন আমি জানি এই পথ কতটা কঠিন। একইসাথে নক আউট পর্ব নিশ্চিত হবার পরও আমি সেটা উদযাপন করি। এখন সময় হয়েছে সকলকে অভিবাদন জানানোর। বিশেষ করে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার প্রতি নজড় দিতে হবে।’
এদিকে ঘরের মাঠে বড় পরাজয়ের লজ্জা থেকে অন্তত গোলশুন্য ড্র করে সিটিকে আটকে দেবার স্মৃতিই এখন পাথেয় হয়ে থাকবে লিসবনের কাছে। এ সম্পর্কে লিসবনের গোলরক্ষক এন্টোনিও আদান বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচের ফলাফলের পর আজকের ম্যাচটা কার্যত আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। আজ পুরো দল দারুনভাবে নিজেদের প্রতিরোধ করেছে। দারুন এক স্বস্তি নিয়ে আমরা ফিরে যাচ্ছি।
বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারের ইনজুরি, অসুস্থতা ও নিষেধাজ্ঞার কারনে কাল গার্দিওলার হাত ধরে ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় অভিষেক হয়েছে টিনএজ রাইট ব্যাক সিজে এগান-রিলের। মূল একাদশে আরো বিশ্রামে ছিলেন রড্রি, কেভিন ডি ব্রুইনা ও রিয়াদ মাহারেজ। কিন্তু তারপরেও ম্যাচটিতে সহজেই জিততে পারতো সিটি। ফিল ফোডেনের থ্রু বল থেকে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন রাহিম স্টার্লিং।
হতাশাজনক প্রথমার্ধের পর গ্যাব্রিয়েল জেসুস দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। বিরতির পর মাহারেজকে মাঠে নামান গার্দিলো। তার এসিস্টেই বামদিকে বল পেয়ে যান জেসুস। কোনাকুনি শটে বল জড়ালে জড়ালেও ভিএআর প্রযুক্তি অফসাইডের কারনে তা বাতিল করে দেয়। ৭৩ মিনিটে দলের প্রথম গোলরক্ষক এডারসনের স্থানে ৩৬ বছর বয়সী ইংলিশ গোলরক্ষক স্কট কারসনকে মাঠে নামান গার্দিওলা। ২০০৫ সালের পর এটাই কারসনের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচ। কিছুক্ষন পরেই স্পোর্টিংয়ের সেরা সুযোগটি ব্যর্থ করে দেন কারসন। পেড্রো পোরোর শট চতুরতার সাথে রুখে দিয়ে কারসন গার্দিওলার আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। ম্যাচের শেষভাগে মাহারেজ, জন স্টোনস, স্টার্লিং গোলের সুযোগ নষ্ট করলে সিটির ডেডলক ভাঙ্গা হয়নি। কিন্তু স্পোর্টিং যে সিটির মাঠে তাদেরকে রুখে দিতে পেরেছে এটাই পর্তুগীজ ক্লাবটির বড় পাওয়া। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।