বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ‘গ্লাস ফ্রগ’ এক বিশেষ প্রজাতির ব্যাঙ। ঘুমানোর সময় এদের শরীর কাচের মতো স্বচ্ছ হয়ে যায়। সে কারণেই এমন নাম। এর কারণ এত দিন অজানা ছিল।
এবার সেই রহস্য উন্মোচন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মাধ্যমে মানবদেহে রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়েও নতুন তথ্য মিলতে পারে।
বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্সে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় দেখা যায়, রক্ত জমাট না বাঁধিয়ে এই ব্যাঙ শরীরে তা টেনে নিতে পারে।
সাধারণত উজ্জ্বল সবুজ পাতার ওপর ঘুমিয়ে দিন কাটায় গ্লাস ব্যাঙ। শরীর ৬১ শতাংশ পর্যন্ত স্বচ্ছ করে তুলতে পারে তারা। এভাবে সবুজ পাতার সঙ্গে মিশে থাকায় শিকারিরা এদের শনাক্ত করতে পারে না।
মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি ইন নিউ ইয়র্কের গবেষক জেসি ডেলিয়া বলেন, ‘ব্যাঙটিকে উল্টে রাখলে খালি চোখে এর হৃিপণ্ডের কার্যক্রম দেখতে পাবেন। সরাসরি এর ত্বকের নিচে এবং আরো ভেতরের মাংসপেশি দেখতে পাবেন। ব্যাঙটির শরীরের বেশির ভাগ অংশই স্বচ্ছ। ’
ডেলিয়া ও কার্লোস তাবোয়াদার গবেষণার ওপর ভিত্তি করে গ্লাস ফ্রগের এই শারীরবৃত্তিক কার্যক্রমের রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে।
জেগে থাকা ও ঘুমানো অবস্থায় ব্যাঙটির শরীরে আলোর বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরীক্ষা চালিয়ে অস্বচ্ছতা পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষায় দেখা যায়, ব্যাঙটি নিজের যকৃতে রক্ত শুষে নেয়। ডেলিয়া বলেন, ব্যাঙটি কোনো না কোনোভাবে বেশির ভাগ লোহিত রক্তকণিকা যকৃতে জমা করে। ফলে এগুলো রক্তরস থেকে সরে যায়। এর মাধ্যমে ব্যাঙটি স্বচ্ছ আবরণ ধারণ করে। কিন্তু বড় ধরনের রক্ত জমাট বাঁধা ছাড়াই রক্তরস সঞ্চালন অব্যাহত রাখে প্রাণীটি। রাতে শিকার বা মিলনের সময় এদের লোহিত রক্তকণিকা সঞ্চালন আগের অবস্থায় চলে আসে এবং যকৃৎ আগের মতো সংকুচিত হয়ে যায়।
গবেষক তাবোয়াদা বলেন, যখন প্রয়োজন তখনই প্রাণীটি রক্ত জমাট বাঁধাতে পারে; যেমন—আহত হলে। এর মাধ্যমে মানুষের রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়ে জানার ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। সূত্র : বিবিসি
সাপের বিষের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা পেয়েছে যেসব প্রাণী!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।