জুমবাংলা ডেস্ক : জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় যেসব আসামি পালিয়ে গিয়েছিল জেল থেকে, তাদের অধিকাংশকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখনো সাত শতাধিক বন্দি ধরা পড়েননি। তবে তাদের ধরতে সরকার তৎপর রয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে জরুরি সেবা (হটলাইন) উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন কারাগার থেকে ২ হাজার ২শ’র বেশি আসামি পালিয়েছিল। এর মধ্যে ১ হাজার ৫০০ মতো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ৭শ’ হাজতি ধরা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেসব শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিন বাইরে আছে তাদের আবার আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি দেশে এখন চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বেড়েছে। তবে সেটা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের জনবলের স্বল্পতা না থাকলেও কমতি আছে আত্মবিশ্বাসের। যা বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশব্যাপী সহিংসতা ও সরকার পতনের উদ্ভূত পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে দেশের কয়েকটি কারাগারে বিশৃঙ্খলা-বিদ্রোহ করেন বন্দিরা। বাইরে থেকে কোনো কোনো কারাগারে চালানো হয় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। এই পরিস্থিতিতে কারাগারগুলো থেকে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন, বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিসহ বিচারাধীন মামলার ২ হাজার ২০০ বন্দি পালিয়ে যায়। যার মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জনকে গ্রেপ্তারের পর ফের কারাবন্দি করা হলেও এখনো ৭০০ বন্দি পলাতক রয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে ১১ জন, ৭০ জন জঙ্গি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।