সম্প্রতি ব্যাংক অব আমেরিকা তাদের এক বিশ্লেষণে জানিয়েছে, ২০২৬ সালে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৫,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যেখানে গড় দাম থাকবে প্রায় ৪,৪০০ ডলার।

বর্তমানে স্বল্পমেয়াদে স্বর্ণের দামে সামান্য পতন দেখা গেলেও দীর্ঘমেয়াদে দাম বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ব্যাংক অব আমেরিকা। মাত্র কয়েক বছর আগেও প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। যা এখন ২ লাখ টাকার উপরে।
এভাবে স্বর্ণের দাম বাড়ায় অনেকেই স্বর্ণ কেনাকাটায় পিছিয়ে পড়েছেন, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই পতনটাই হতে পারে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ।
বাজুসের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, “আমেরিকার চলমান অর্থনৈতিক শাটডাউন ও ডলার সংকটের কারণে অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের পরিবর্তে স্বর্ণ কিনছে। এর ফলেই দাম বেড়েছিল। পরে বড় বড় ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডগুলো মুনাফা তুলে নেওয়ায় সাময়িক পতন দেখা গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের অস্থিরতা কমলে দামও স্বাভাবিক হবে, তবে এক লাখ বা দেড় লাখ টাকায় আর নামবে না। স্বর্ণ এখন এমন এক ভারসাম্যপূর্ণ স্তরে থাকবে, যেখানে মানুষ আবারও কেনাকাটা করতে পারবে।”
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে বর্তমানে ১৪.৫৮ টন সোনা রয়েছে, যা গত চার বছর ধরে অপরিবর্তিত।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভ আরও বাড়ানো গেলে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আরও শক্তিশালী হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



