আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্ত্রী ও দুই ছেলে বাবাকে টেপ দিয়ে আটকে পিছমোড়া করে বেঁধে কম্বল দিয়ে ঢেকে ঘরে ফেলে রাখার ঘটনায় তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের ভগবানপুরে।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) তাদেরকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় অভিযুক্তদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন আদালত। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভগবানপুরে। ভুক্তভোগী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
জানা গেছে, শনিবার (১২ ডিসেম্বর) ঘর থেকে গোঙানির আওয়াজ পেয়ে সন্দেহ হয়েছিল ভাড়াটিয়াদের। বাড়ির মালিককে সে কথা জানাতেই তিনি ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে যান। এ সময় ঘরের ভিতর তাকে ঢুকতে বাধা দেয় ভুক্তভোগীর স্ত্রী সন্ধ্যা হালদার এবং তার দুই ছেলে ভিকি ও বিলাস।
অন্যান্য প্রতিবেশীরা জানান, জোর করে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে তিনি দেখেন সন্ধ্যার স্বামী সুভাষকে নাইলনের দড়ি দিয়ে দু’হাত-দু’পা বেঁধে কাঠের আসবাবের সঙ্গে তার দেহ পিছমোড়া করে বেঁধে রাখা হয়েছে। গলা থেকে মুখ পর্যন্ত একের পর এক জড়ানো সেলোটেপ। স্থানীয়রাই উদ্ধার করে ওই ব্যক্তিকে। এরপর রোববার সুভাষবাবুর স্ত্রী সন্ধ্যা ও তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে পাঠানো হয়। দীর্ঘক্ষণ ওই অবস্থায় পড়ে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়ে সুভাষ। পরে তাকে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হ। পেশায় ইলেকট্রিকের মিস্ত্রি সুভাষ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বছর দুয়েক আগে দুই ছেলেকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের নাইয়াপাড়ায় বাপেরবাড়ি চলে আসেন সন্ধ্যা। ছ’মাস আগেই দুই ছেলেকে নিয়ে বাপেরবাড়ি থেকে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবানপুরের ভাড়াবাড়িতে ওঠেন তিনি। পুজোর সময় স্ত্রী ও ছেলেদের সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারেই কাটিয়ে সুভাষ ফিরে গিয়েছিলেন কসবার বাড়িতে। দিনকয়েক আগে ফের তিনি এসেছিলেন ডায়মন্ড হারবারে স্ত্রী ও ছেলেদের কাছে।
অসুস্থ সুভাষ জানান, সম্ভবত শুক্রবার রাতের খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা খেয়ে তিনি শুয়ে পড়েন। তাকে বাঁধা বা মুখে সেলোটেপ আটকানো কোনো কিছুই টের পাননি তিনি। তার ধারণা, স্ত্রী ও ছেলেরা মিলে তাকে খুন করতেই চেয়েছিল।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।