জুমবাংলা ডেস্ক : স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে বন্ধু ও বান্ধবীকে বেড়াতে নিয়ে আসেন স্ত্রী। এতে ক্ষুদ্ধ হন স্বামী। আর তার বকুনিতে আত্মহ’ত্যা করেন স্ত্রী ইফাত আরা ইয়াসমিন মীম। বুধবার রাতে পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলার আমাইকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মীম উপজেলার আমাইকোলা গ্রামের আয়নাল আকন্দ এর ছেলে আজাদের স্ত্রী ও বেড়া উপজেলার মঞ্জুর কাদের মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তবে এটা হ’ত্যা না আত্মহ’ত্যা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর আগে বেড়া উপজেলার হাতিগাড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে মীমের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী সাঁথিয়া উপজেলার আমাইকোলা গ্রামের আয়নাল আকন্দের ছেলে আজাদের সাথে। এরপর বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে নানান কারণে ঝগড়াঝাটি চলে আসছিলো। এরই জেরে ঘটনার দিন রাতে আজাদের সাথে মীমের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মীম স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁ’স নেয়। পরে রাতেই তাকে বেড়া হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃ’ত বলে ঘোষণা করে থানায় ফোন দেন। খবর পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে লা’শ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সাঁথিয়া থানার উপ- পরিদর্শক(এসআই) মামুন জানান, বুধবার রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে মীমের বাড়িতে তার এক বান্ধবী ও তার এক বন্ধু বেড়াতে আসে। স্বামী বাড়ি ফেরার পর এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। এরই এক পর্যায়ে মীম স্বামীর উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহ’ত্যা করে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহ’ত্যা। তবে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।
এদিকে মীমের বাবা ইকবাল হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, আজাদ (জামাই) আমার মেয়েকে মে’রে ফেলেছে। আমার মেয়ে আত্মহ’ত্যা করতে পারে না। তিনি জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।