জুমবাংলা ডেস্ক : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চম্পা রানীকে ধর্মান্তরিত করে বানিয়েছেন মোসাম্মৎ চম্পা বেগম। কিন্তু স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে উলটো প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করা হয়েছে তাকে। সর্বস্ব হারিয়ে এখন দিশেহারা চম্পা বেগম। একমাত্র শিশু কন্যাকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাকে।
২০১৬ সালে বরিশাল নগরের হাসপাতাল রোডের মোসলেম হাওলাদারের ছেলে হেলাল উদ্দিন ফারুকের সঙ্গে পরিচয় হয় পটুয়াখালী জেলার মধ্য কুরালিয়া গ্রামের বাবুল শীলের মেয়ে ও শ্যামল চন্দ্র শীলের স্ত্রী চম্পা রানীর।
এরপর সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিবাহের আশ্বাসে আগের স্বামী শ্যামলকে ছেড়ে দিয়ে তার চার বছরের মেয়েকে নিয়ে ধর্মান্তরিত হন চম্পা। ওই সময় নগরীর শীতলাখোলায় একটি মুদি দোকান ছিল তার।
ভুক্তভোগী চম্পা বলেন, ‘ফারুকের সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকেই বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য টাকা এনে আমার ব্যাংক একাউন্টের চেক দেয় ফারুক। সেই মামলায় আমার জেল জরিমানা পর্যন্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমার গর্ভের সন্তান দুইবার নষ্ট করেছে। সর্বশেষ আমাকে বরগুনায় একটি বাসা ভাড়া করে রাখলেও গত ছয় মাস যাবত কোনো খরচ বহন করছেন না ফারুক। এতে একমাত্র শিশু কন্যাকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে আমাকে।’
পাওনাদারের চাপ, বিবাহ করেও স্ত্রীর মর্যাদা থেকে বঞ্চিত চম্পা আক্ষেপ করে বলেন, ফারুকের সাথে পরিচয়ের পর তারই প্ররোচনায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তাকে বিবাহ করি।
এদিকে ফারুক তার পানির ফিলটার ব্যবসার জন্য কয়েক লাখ টাকা ধারদেনা করেন আমার মাধ্যমে। সেই টাকার পাওনাদাররা আমার নামে মামলা করলেও পাশে পাইনি ফারুককে।
চম্পা আরও বলেন, আমাকে ফারুক বিবাহ করার সময় বলেছিল তার আগের স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো তার প্রথম স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে যা কখনো আমাকে বলেনি। কিছুদিন পূর্বে ফারুক তার প্রথম ঘরের মেয়েকে বিবাহও দিয়েছেন।
এসব বিষয়ে ফারুককে প্রশ্ন করলে কোনো সদুত্তর না দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।