জুমবাংলা ডেস্ক : বড় ভাই মোমিনের উপর রাগ করে বিষ পান করে ছোটভাই ওমর ফারুক। এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাভিত করে স্বামীকে (ছেলের বাবা) শাসন করার জন্যই মা সাবিনা খাতুন ‘বাবা কর্তৃক ছেলের মুখে বিষ ঢেলে দেয়ার গল্প সাজান’।
স্বামীর নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতেই ছেলের মুখে বিষ ঢেলে দেবার কাহিনী প্রচার করা হয়েছে বলে অকপটে স্বীকার করলেন শিশু ওমর ফারুকের মা সাবিনা খাতুন। সাবিনা এখন নিজের ভুল স্বীকার করে অনুতপ্ত বলেও জানিয়েছেন।
বিষ পানে অসুস্থ শিশু ওমর ফারুক জানান, তার বড় ভাই মোমিন একজন প্রতিবন্ধী। কারণে অকারণে মারধর করতো সে। তাকে মারধর করার জন্যই বাড়ির সকলের অজান্তে মাঠে পড়ে থাকা বিষের বোতলে পানি ঢেলে ঝাকিয়ে সেই পানি পান করে। এসময় মা সাবিনা খাতুন বাড়ি ছিলেন না। পরে মা এসে বাবার নামে বিভিন্ন অভিযোগ করে। বাবা আমার মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে বলে প্রচার করেন। বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশিরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সাবিনা খাতুন জানান, আমার চার ছেলে-মেয়ের সংসার। আমার স্বামী মজিবর আমার ওপর কারণে অকারণে প্রায় নির্যাতন চালাতো। প্রায় নয় মাস আগে আমাকে সাবল দিয়ে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং আমার পেটে সাবল দিয়ে আঘাত করে। তারপরে সে আমাকে বাবার বাড়ি তাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্ক আছে বলেও অপবাদ দেয়। একারণেই স্বামীকে শাসন করার জন্যই ছেলের মুখে বিষ ঢেলে দেয়ার কথা বলেছি।
ওমর ফারুকের বাবা মজিবর রহমান জানান, স্ত্রী সাবিনা খাতুনের স্বভাব চরিত্র ভাল না। বিষয়টি নিয়ে বেশ কবার নিষেধ করার পর তার পরিবর্তন না হওয়ায় পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতিতে অভিযোগ করা হয়। সেখানে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করবে মর্মে স্বীকার করলে সাবিনাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ছেলের বিষ পানের কারণে স্ত্রী পুরাতন হিসেব নিকেশ করবে তা জানা ছিল না। তার হুমকির কারণে গাংনী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। যার নং -৩৫৯, তারিখঃ ০৯/০৬/২০২০ ইং।
উল্লেখ্য গত ২০ আক্টোবর গাংনী উপজেলার শেওড়া তলা গ্রামে ওমর ফারুক (১৩) নামে এক শিশু বিষ পান করে। এসময় তাকে উদ্ধার করে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গাংনী স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ভর্তির পর ওমর ফারুকের মা সাবিনা ও খালু আলমগীর প্রচার করে ওমর ফারুকের মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে শিশুটির পিতা মুজিবর রহমান। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ পরিবেশিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।