মেহেরপুর শহরে স্বামী আবুল আয়েব মুকিদ মুকুলের মৃত্যুর খবর শুনে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন তার স্ত্রী আইরিন পারভিন নন্দাও।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রবিবার (২০ জুলাই) রাতে শহরের পেয়াদাপাড়ায় নিজ বাসস্থানে মারা যান তারা। দুজনেরই স্বাভাবিক মৃত্যু বলে ধারণা করা হচ্ছে। পারিবারিক সম্মতিতে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তারা হলেন একই এলাকার আবুল আয়েব মুকিদ মুকুল ও আইরিন পারভিন নন্দা। মুকুল পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার শেষে ঘুমাতে যান স্বামী আবুল আয়েব মুকিদ মুকুল ও স্ত্রী আইরিন পারভিন নন্দা। রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুল। স্ত্রীর চিৎকারে ছুটে আসেন পাড়া প্রতিবেশী। খবর দেয়া হয় আত্মীয়-স্বজনদের। এ সময় মারা যান মুকুল। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্ত্রী নন্দা। এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনিও।
বড় মেয়ে তন্বী বলেন, রাত আড়াইটার দিকে আম্মা ফোন দিয়ে জানাল বাবা অসুস্থ। শহরের কাশ্যপাড়ায় নিজের শ্বশুরবাড়ি থেকে এসে দেখি আম্মা মেঝেতে লুটিয়ে পড়েছেন এবং বাবা ঘরে মারা গেছেন। পরে চিকিৎসকের কাছে নিলে তারা জানান দুজনই আর নেই।
মুকুলের ভাই অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান স্বপন বলেন, ‘আমার ভাই-ভাবি ভালো মানুষ ছিলেন। কারো সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় গোরখোদকরা বলেন, স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে কবর খুঁড়তে হবে এমনটি কল্পনাও করেননি তারা। এর আগে এমন ঘটনাও দেখেনি বলে জানান তারা।
১৯৯০ সালে মুকুল ও নন্দার বিয়ে হয়। পরিবারে রয়েছেন তিন কন্যা সন্তান। তারা সবাই বিবাহিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।