জুমবাংলা ডেস্ক : করোনায় আক্রান্ত স্বামীর মৃত্যুর চার ঘন্টা পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনও। বুধবার সকাল ৬টায় স্বামী ও সকাল ১০টার দিকে মারা যান শেরপুর শহরের মাধবপুর এলাকায় এই দুই বাসিন্দা। চার ঘণ্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর এমন মৃত্যুতে ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যায়, কিডনী ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৮ নভেম্বর রাজধানীর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৩ বছর বয়সী ব্যবসায়ী রফিকুর রহমান। করোনা শনাক্ত হলে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ছয়টার দিকে মারা যান রফিকুর রহমান।
এদিকে শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতায় গত চার দিন ধরে ভুগছিলেন রফিকুর রহমানের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনও। শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৫২ বছর বয়সী এই নারী শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকাল ১০টার দিকে আম্বিয়া খাতুনকে জেলা হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে স্থানান্তরের জন্য অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হয়। অ্যা¤ু^লেন্সে উঠানোর কিছু সময় পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
চার ঘণ্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বিকালে স্বামী-স্ত্রীর লাশ বাড়ির আঙিনায় রাখা হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। দুই সন্তান, পরিবারের সদস্যদের কান্না আর আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
মৃত রফিকুর রহমান ছিলেন শেরপুরের শিক্ষক প্রয়াত পন্ডিত ফসিহুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে এবং শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমানের বড় ভাই। তাদের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীল রুমান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর প্রেসক্লাবের সকল সদস্য, সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী সভাকক্ষ পরিচালনা পর্ষদ, শেরপুর টাইমস পরিবার, শেরপুর ইয়্যুথ রিপোর্টার্স ক্লাব গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
বুধবার রাত ৮টায় শেরপুর শহরের তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে চাপাতলি পৌর কবরস্থানে দুজনকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।