আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্বামীর অতিরিক্ত নি’র্যাতন সহ্য করতে না পেরে কু’পিয়ে শি’রচ্ছেদ করে হ’ত্যা করেছেন মারিয়া নামের এক নারী। শুধু তাই নয়, স্বামীর পু’রুষাঙ্গ কেটে তার পোষা কুকুরকে খাইয়েছেন তিনি। এই লো’হমর্ষক ঘটনা ঘটেছে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের ওবারিভ গ্রামে।
৪৮ বছর বয়সী ওই নারী পুলিশকে বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক স’হিংসতা সহ্য করে এসেছেন। নি’র্যাতনের অবসানের জন্য স্বামীকে খু’ন করেছেন তিনি। নি’র্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল স্বামীকে হ’ত্যা করা।
ইউক্রেনের পুলিশ বলছে, মারিয়ার স্বামীর নাম ওলেকসান্দার (৪৯)। গত ২৩ আগস্ট রাতের ডিউটি পালন শেষে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। স্বামী যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সেই সময় শূন্য হাতে তাকে শ্বা’সরোধে হ’ত্যা করেন মারিয়া। পরে কু’ড়াল দিয়ে কু’পিয়ে স্বামীর শরীর থেকে মা’থা বি’চ্ছিন্ন করেন।
এ ঘটনার পর রান্নাঘরে থেকে ছু’রি এনে ওলেকসান্দার পু’রুষাঙ্গ কেটে পোষা কুকুরকে খেতে দেন। তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, পরে ওই নারী তার স্বামীর ম’রদেহ টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করেন; কিন্তু ব্যর্থ হন।
স্বামীকে হ’ত্যার পর র’ক্তাক্ত শরীরে বাড়ির বাইরের রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মারিয়া। এ সময় নাদেজদা ওপানাসিক নামে এক প্রতিবেশী তাকে র’ক্তাক্ত দেখতে পান। স্থানীয় গণমাধ্যমকে ওপানাসিক বলেন, ‘মারিয়ার হাত, পা এবং কাপড়ে র’ক্ত লেগে ছিল। তিনি আমাকে বলেন, আমি সমস্যায় পড়েছি। আমার স্বামীকে খু’ন করেছি।’
ওপানাসিক বলেন, ‘আমি মারিয়ার কথা বিশ্বাস করতে পারিনি। আমি মনে করেছিলাম, সম্ভবত স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছে এবং স্বামীকে মা’রপিট করেছে। মারিয়ার স্বামী ওলেকসান্দার কোনো মেডিকেল সহায়তা দরকার কিনা সেটি দেখার জন্য আমি তাদের বাড়ি যাই।’
‘আমি ঘরে ঢুকে তার খ’ণ্ডিত ম’রদেহ পড়ে থাকতে দেখি। বিছানার চাদরে র’ক্তের দাগ। আমি তার কাছে জানতে চাই, ওলেকসান্দার মাথা কোথায়? মারিয়া জানায়, বস্তার ভেতর।’
প্রতিবেশী এই নারী বলেন, তিনি ওই সময় অ’সুস্থবোধ করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে অন্য প্রতিবেশীদের ডেকে এ ঘটনার কথা জানান। পরে অন্য প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকে মারিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে নি’র্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে হ’ত্যার কথা স্বীকার করেন এই নারী।
ইউক্রেন পুলিশের মুখপাত্র ভাদিম আর্তিখোভিচ বলেন, সন্দেহভাজন নারী ঘটনাস্থলেই তার স্বামীকে হ’ত্যা কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে খু’নের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি পুলিশি জিম্মায়। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান। দোষী সাব্যস্ত হলে মারিয়াকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। সূত্র: ডেইলি মেইল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।