আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্বামীর সঙ্গে প্রেমিকার ছবি দেখে যেন একেবারে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মা। রাগে আর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। এরপর একে একে হত্যা করেন নিজের পাঁচ সন্তানকে। জার্মানির জলিঙ্গেন শহরে ঘটে যাওয়া গতবছরের সেই ঘটনায় সন্তান হত্যার দায়ে মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ’র বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, জার্মানির জলিঙ্গেনের বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সী ওই নারী স্বামীর সঙ্গে তার প্রেমিকার ছবি দেখার পর নিজের পাঁচ সন্তানকে হত্যা করেছিল।
এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিচারক৷ অপরাধের ধরন বিবেচনা করে আদালত জানিয়েছেন ১৫ বছর কারাভোগের পরও ওই নারী প্যারোল আবেদন করতে পারবেন না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই নারীর মোট ছয় সন্তান ছিল৷ স্বামীর সঙ্গে তার প্রেমিকার ছবি দেখার পর ওই নারী তার স্বামীকে লিখেন, সে আর তার সন্তানদের কখনও দেখতে পারবে না৷
নিজের পাঁচ শিশু মেলিনা, লিওনি, সোফি, টিমো এবং লুকা’কে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে হত্যা করে ওই নারী। প্রসিকিউটররা বলেন, তাদের মা প্রথমে শিশুদেরকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে তাদের হয় ডুবিয়ে অথবা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিলেন তিনি। শিশুদের বয়স ছিল ১ থেকে ৮ এর মধ্যে।
হত্যার আগে নিজের সন্তানদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ১১ বছর বয়সী সন্তানকে তার দাদীর সঙ্গে থাকতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সন্তানদের হত্যার পর সে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন৷ এতে মারাত্বক আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিচার চলাকালীন ওই নারী আদালতে একেবারে চুপ ছিলেন৷ পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় আদালতে মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী৷ মুক্তি না দিলে তাকে আট বছরের জন্য কারাদণ্ড ও মানসিক চিকিৎসার আবেদন করা হয়েছিল৷
তবে আদালতের এক বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করে জানান, তার মারাত্মক কোনো মানসিক রোগ নেই৷
সূত্রঃ ওয়াশিংটন পোস্ট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।