স্বামী দাবি করে দুই স্ত্রীর মামলা, মরদেহ ১০ বছর হিমাগারে

BARDEM

জুমবাংলা ডেস্ক : হিন্দু নাকি মুসলিম দুই স্ত্রীর দাবির বিরোধে দশ বছর ধরে বারডেমের হিমঘরে রয়েছে রাজিব নন্দি ওরফে রাজিব চৌধুরী ওরফে খোকন নন্দী ওরফে খোকন চৌধুরীর লাশ। দুই স্ত্রীর দাবির প্রেক্ষিতে বিচারিক আদালতে হিন্দু বলে দাবি করা এক স্ত্রীর আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুুপুরে বিচারপতি জাকির হোসেনের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

BARDEM

দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রাজিব চৌধুরী ওরফে খোকনোর চিতা নাকি কবর, দাহ নাকি দাফন- দীর্ঘ এই দশ বছরেও সুরাহা হয়নি। এর কারণ, খোকনের দুই স্ত্রী, একজন হিন্দু, একজন মুসলিম। দুই পক্ষই খোকনের লাশের শেষকৃত্য করতে চান নিজ নিজ ধর্মমতে। এ কারণে বিষয়টি গড়িয়েছে হাইকোর্টে। বর্তমানে খোকনের লাশ বারডেমের হিমাগারে রয়েছে। কিন্তু লাশের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ জুন খোকন চৌধুরী অসুস্থ হন। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী হাবিবা আকতার খানম ওরফে বাবলি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ জুন তিনি মারা যান। এরপর হাসপাতাল থেকে তার সাথে থাকা দ্বিতীয় স্ত্রী হাবিবা আকতার খানম ওরফে বাবলি স্বামীর লাশ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। কিন্তু খোকন চৌধুরীর প্রথম স্ত্রী মিরা নন্দী এবং তার দুই সন্তান বাবুল ও চন্দনা এতে বাধা দেন।

তারা দাবি করেন, তাদের বাবা খোকন নন্দীর লাশ তারা নিয়ে হিন্দুধর্ম মতে সৎকার করবেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আর এই দুপক্ষের বিরোধের কারণে তৎকালীন রমনা থানা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারা পারেনি।

বিদ্যুৎ প্লান্টের স্ক্র্যাপ চুরির মামলায় শ্রমিক দলের সভাপতি গ্রেফতার

২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকার সহকারী জজ আদালত (দেওয়ানি মামলা নম্বর ২৫২/১৪, ঢাকা) বারডেম জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় ও তদারকিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে খোকনের লাশটি সংরক্ষণে রাখার আদেশ দেয়। এরপর দশ বছর পেরিয়ে গেলেও লাশটি হিমঘরে পড়ে রয়েছে।