যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে স্বামী আবূ সালেহ মুসার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আলোচিত মডেল সানাই মাহবুব। আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালতে বাদী হয়ে সানাই মাহবুব এ মামলা করেন।
চাহিদামতো যৌতুক না পেয়ে সানাইকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করেছেন তার স্বামী, এই অভিযোগও আনা হয়েছে।
সানাই মাহবুবের আইনজীবী মিঠুন সাহা সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২২ লাখ টাকা যৌতুকের অভিযোগ এনে স্বামীর বিরুদ্ধে সুপ্রভা মাহবুব বিনতে সানাই মাহবুব আদালতে মামলা করেছেন। টাকার জন্য তার স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২২ সালের ২৭ মে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় সানাই মাহবুবের পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্র এবং ১৫ ভরি স্বর্ণ দেওয়া হয়, যা আসামির বাসায় রয়েছে। চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করবে জানিয়ে আবূ সালেহ মুসা সানাই মাহবুবকে তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা এনে দিতে বলে। সানাই মাহবুব নিজের জমানো ১২ লাখ এবং বাবার কাছ থেকে ৭ লাখ সর্বমোট ১৯ লাখ টাকা এনে দেয়। কিন্তু আবূ সালেহ মুসা ওই টাকা নষ্ট করে ফেলে।
পরে, ব্যক্তিগত ঋণ পরিশোধের জন্য স্ত্রীকে দেহব্যবসায় নামানোর জোর চেষ্টা করেন তিনি। পুনরায় আবূ সালেহ মূসা সানাই মাহবুবের কাছে ২২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তবে তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসামি। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামি বাদীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। দাবি করা ২২ লাখ টাকা না দিলে সংসার করবে না মর্মে জানায়। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকি দেয়।
সানাই মাহবুবের পরিবার তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং সশরীরে এসে কথা বলার জন্য বলেন। গত ১২ মে আবূ সালেহ মূসা সানাই মাহবুবের আফতাবনগরের বাসায় যান। কথাবার্তার একপর্যায়ে পুনরায় ২২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। তবে তারা যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ কথা শুনে আবূ সালেহ মুসা ক্ষিপ্ত হয়ে সংসার করবে না জানিয়ে দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। অন্যত্র বিয়ে করার হুমকিও দেয়। সানাই মাহবুব যৌতুকবিহীন সংসার করার জন্য একাধিকবার পারিবারিক ও সামাজিকভাবে চেষ্টা করেছেন মর্মে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এরপর, সংসার করার জন্য সানাই মাহবুব গত ৭ ও ২২ জুলাই আবূ সালেহ মূসাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। আবূ সালেহ মূসা ৭ জুলাইয়ের লিগ্যাল নোটিশ গ্রহণ করে ১৭ জুলাই অসন্তোষ, মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর জবাব দেন। ৩১ জুলাই আবূ সালেহ মূসা সানাই মাহবুবের আফতাবনগরের বাসায় গিয়ে বলেন, ‘তুই শতবার সংসার করার জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেও আমি লিগ্যাল নোটিশ আর গ্রহণ করব না এবং যৌতুক বাবদ আমার দাবিকৃত ২২ লাখ টাকা না দিলে সংসার করব না।’
২০২২ সালের ২৭ মে অনেকটা গোপনেই নীলফামারী শহরের বাবু পাড়ায় পৈতৃক বাড়িতে আবু সালেহ মুসাকে বিয়ে করেন আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। মুসার বাড়ি একই জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের দক্ষিণ দুরাকুটি গ্রামে। মুসার বাবার নাম আনসার আলী প্রামাণিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।