স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি হচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলী। এ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে রাখলেন, স্বার্থ সংঘাতের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ভাববেন তিনি। নতুন বোর্ড সভাপতি মনে করেন, এ কারণে অনেক সাবেক ক্রিকেটারই প্রশাসনে আসতে পারছেন না।
সৌরভ নিজেও এর বলির পাঁঠা। একসঙ্গে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) প্রেসিডেন্ট এবং আইপিএল দল দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর হওয়ায় তার বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যে দিল্লির দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। আগামী ২৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ড সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করার পর সিএবির দায়িত্ব থেকেও সরে আসবেন দাদা।
মুম্বাইয়ে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের সৌরভ বলেন, স্বার্থ সংঘাতের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবার আছে। এ কারণে আমরা সাবেক সেরা ক্রিকেটারদের প্রশাসনে পাচ্ছি না। তারা বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে জড়িত থাকেন। অন্যান্য কাজও করেন। এখন নিয়মের গ্যাঁড়াকলে পড়ে বোর্ডে আসতে যদি সেটি ছাড়তে হয়, তা হলে সমস্যা। কারণ তাদের জীবিকা অর্জনের পথই অবরুদ্ধ হয়ে যাবে।
জীবন্ত কিংবদন্তির প্রশ্ন-ক্রিকেট প্রশাসনে আসার কারণে যদি কারও জীবিকা অর্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে সে কেন আসতে চাইবে?
বোর্ড নিযুক্ত ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটির (সিএসি) সদস্যও ছিলেন সৌরভ। কিন্তু সেই কমিটিকেও বাতিল করে দেন বোর্ডের নীতিনির্ধারক কর্মকর্তা ডিকে জৈন। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার সদস্য সঞ্জীব গুপ্তের একের পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কেন এ ‘স্বার্থ সংঘাত নিয়ম’ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে? সেটিরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতের সাবেক এ অধিনায়ক। সৌরভের ভাষ্যমতে, এনসিএ (জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি), সিএসি বা ভারতীয় দলের ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোচ হোক- সবার নিয়োগ নিয়েই কিছু সমস্যা হয়েছে। স্বার্থ সংঘাতের একই সমস্যা দেখা দিয়েছে আইপিএল বা ধারাভাষ্যকারদের ক্ষেত্রেও। ফলে ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, নিয়মানুযায়ী বিসিসিআই সংশ্লিষ্ট একাধিক পদে একই সঙ্গে কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজি কোচরা বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে পারেন না। এমনকি অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন না। থাকলেই স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ ওঠে। একরকম বাধ্য হয়ে দুই পদের একটি ছেড়ে দিতে হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।