Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home স্বাস্থ্যসেবা বেসরকারি খাত নির্ভর হওয়ার খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ
জাতীয়

স্বাস্থ্যসেবা বেসরকারি খাত নির্ভর হওয়ার খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ

জুমবাংলা নিউজ ডেস্কMay 29, 20206 Mins Read
Advertisement

আকবর হোসেন : বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগের কোন কমতি নেই।

সরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনার মান যখন দিনকে দিন অবনতির দিকে গেছে, তখন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বেসরকারি খাতের আধিপত্য বেড়েছে।

কিন্তু কোভিড১৯ মহামারির এই সময়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো যখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তখন একমাত্র ভরসার জায়গা হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলো।

বেসরকারি খাতের আধিপত্য বেড়েছে কেন?

ঢাকার বাসিন্দা ফেরদৌস আরা রুমি এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময় ছোট-খাটো শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিসকের শরণাপন্ন হন।

কোথায় চিকিৎসা করাবেন? এমন ভাবনার শুরুতে মনে আসে বেসরকারি হাসপাতালের কথা। তিনি বলেন, অনেকটা বাধ্য হয়েই বেসরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভর করতে হয়।

“বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, ডাক্তাররা চেম্বার করেন বেসরকারি হসপিটালে। সরকারি হাসপাতালে লম্বা লাইন ধরতে হয়। সব মিলিয়ে বেসরকারি হসপিটাল প্রেফার করি,” বলছিলেন ফেরদৌস আরা। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে তিনি ‘মন্দের ভালো’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলো অতি দরিদ্রদের হাসপাতাল হিসেবেই পরিচিত।

যাদের আর্থিক সামর্থ্য কিছুটা হলেও ভালো, তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে মোটেও ইচ্ছুক নন।

যারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান তাদের অধিকাংশকে শারীরিক পরীক্ষা করাতে হয় বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে।

অর্থাৎ স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বেসরকারি খাতের দাপট এখন বেশ জোরালো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ১৯৯০ এর গোড়া থেকে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে বিভিন্ন খাতে যেভাবে বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তার ঢেউ লেগেছে স্বাস্থ্য খাতেও।

বেসরকারি খাতের উপর অতি নির্ভরশীলতা যে ভালো নয় সেটি প্রমাণ হয়েছে এবার কোভিড-১৯ মহামারির সময়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইড-এর আঞ্চলিক পরিচালক ডা. খায়রুল ইসলাম বলছেন, “স্বাস্থ্য খাতের এই দুরাবস্থার একটা বড় কারণ হচ্ছে যখন থেকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি সহায়তা দুর্বল হতে শুরু করলো এবং বিশ্বব্যাংক টোটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা শুরু করল। প্রাইভেট সেক্টরকে অতি বাড়তে দেবার কুফল এখন আমরা হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছি।

বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই

কোভিড-১৯ কিংবা অন্যান্য রোগের চিকিৎসা নিতে মানুষ যখন বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটোছুটি করছে, ঠিক সেই সময়ে বহু বেসরকারি হাসপাতাল মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

শুধু করোনাভাইরাস নয়, গত দুইমাস যাবত বাংলাদেশের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল অন্য রোগীদের চিকিৎসা দেবার ক্ষেত্রে টালবাহানা করছে।

ডা. ইয়াসমিন হেমায়েত উদ্দিন ১৫ বছর যাবত মেরি স্টোপস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ছিলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতের উপর সরকারের যে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই সেটি বেশ পরিষ্কারভাবে বোঝা গেছে মহামারির এই সময়ে।

তিনি বলেন, “প্রাইভেট সেক্টরে কী হচ্ছে? কীভাবে এটাকে আরো শক্তিশালী করা যায়? এ কর্তৃত্বটা সরকার কখনো প্রাইভেট সেক্টরের উপর করতে পারেনি। প্রাইভেট সেক্টরটাকে আমরা কখনো আমাদের অ্যাকাউন্টেবিলিটি ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে আনতে পারিনি,”

স্বাস্থ্যখাতে মানুষের ব্যয় বেড়েছে

গত ২৫ থেকে ত্রিশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের চিত্র ব্যাপকভাবে বদলে গেছে।

যেখানেই সরকারি হাসপাতাল আছে, ঠিক তার আশেপাশেই গড়ে উঠেছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

বাংলাদেশের ১৯৯০ সালে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ১০ কোটি। গত ৩০ বছরে জনসংখ্যা আরো ছয় কোটি বেড়েছে। এ কারণে হাসপাতালের চাহিদা বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শারমিন মোবিন ভুঁইয়া মনে করেন, বেসরকারি খাতের বিস্তারের কারণে মানুষের ব্যয় বেড়েছে অনেক বেশি।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে প্রতিবছর যত টাকা খরচ হয় তার ৬৭ শতাংশ রোগীরা ব্যয় করে, যেটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বেশি।

শারমিন মোবিন ভুঁইয়া বলেন, ” রকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার অনেক কম। বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য তিনজন ডাক্তার আছে। অথচ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী প্রতি এক হাজার জনের জন্য একজন ডাক্তার থাকার কথা। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রফিট মোটিভ থাকে। ফলে টোটাল হেলথ এক্সপেন্ডিচারের একটি বড় অংশ মানুষ তার পকেট থেকে ব্যয় করছে।”

স্বাস্থ্যখাত নিয়ে পরিকল্পনার অভাব

সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫৪টি এবং এসব হাসপাতালে মোট শয্যার সংখ্যা ৫১,৩১৬টি।

আর বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৫,০৫৫টি, যেখানে মোট শয্যার সংখ্যা ৯০,৫৮৭টি। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে কিছু অর্জন আছে যা চোখে পড়ার মতো।

এর মধ্যে রয়েছে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমানো। ডা. ইয়াসমিন হেমায়েত উদ্দিনের অভিজ্ঞতা বলছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বরাবরই ইস্যু ভিত্তিক ছিল। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে সার্বিক কোন পরিকল্পনা করা হয়নি।

“পুরো জিনিসটাকে একটা ভিশনের আওতায় এনে যে হেলথ সার্ভিসটাকে দেখা , এটা কিন্তু কখনোই হয়নি। কখনো এইচআইভি চলে আসলো তো সেটার উপর টার্গেটেড কিছু প্রোগ্রাম করা হলো। কখনো টিবি চলে আসলো তো সেটাকে গুরুত্ব দেয়া। আমরা শুধু ইস্যু-ভিত্তিক চিন্তা করেছি। পুরো সিস্টেমটাকে নিয়ে কখনো ভাবিনি,” বলেন ইয়াসমিন হেমায়েত উদ্দিন।

সরকারি খাত অবহেলিত কেন?

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হাবার পর থেকে দেখা গেছে, কোভিড১৯ -এ আক্রান্ত হয়ে ব্যবসায়ী, উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা কিংবা রাজনীতিবিদদের অনেকেই বাধ্য হয়েছেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে।

স্বাভাবিক সময়ে এদের অনেকে বাংলাদেশে চিকিৎসা করানোর বিষয়টি চিন্তা করতে পারতেন না। কিন্তু দুর্যোগের এই সময়টিতে সরকারি হাসপাতাল হয়ে উঠেছে একমাত্র ভরসা।

গত ত্রিশ বছর যাবত দেখা যাচ্ছে, যারা নীতিনির্ধারণের সাথে জড়িত, তাদের প্রায় সবাই বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে অভ্যস্ত। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার ঘটনা বেশ বিরল।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পাঁচ বছর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন আ ফ ম রুহুল হক, যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক।

মি: হক বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কম থাকায় সরকারি হাসপাতালগুলো বিভিন্ন সংকটের ভেতর দিয়ে যায়। তবে তিনি মনে করেন, এখনো বেশিরভাগ মানুষ সরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল।

সরকার যখন বাজেট তৈরি করে তখন আমাদের স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির এক শতাংশের কম বরাদ্দ দেয়া হয়। বাজেট তৈরির সময় স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্ব দেয়া হয় না। এগ্রিকালচার নিয়ে যায়, শিক্ষা নিয়ে যায়। এভাবে ভাগ বসতে বসতে স্বাস্থ্যে অনেক কম পড়ে যায়,” বলেন মি: হক।

গত ৩০ বছরে যারা সরকার চালিয়েছেন তারা অবশ্য নিজেদের ব্যর্থতা মানতে রাজি নন। সবাই নিজেদের সফলতাই দাবি করে। কিন্তু বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন বলে মনে করে সাধারণ মানুষ।

প্রতিটি সরকার বেসরকারি হাসপাতাল গড়ে উঠতে সহায়তা করেছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ঢাকা শহরে যখন কয়েকটি বৃহৎ বেসরকারি হাসপাতাল কাজ শুরু করে।

সে সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন।

তিনি যুক্তি তুলে ধরছেন, চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে থেকে অর্থ যেন বিদেশে চলে না যায়, সেজন্য বেসরকারি হাসপাতালকে উঠতে সহায়তা করা হয়েছিল।

মি: হোসেন বলেন, ” আমাদের দেশের সামান্য কিছু লোক চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যায়। বিদেশে না গিয়ে যাতে দেশে চিকিৎসা হয়, সেজন্যই বেসরকারি খাতকে সুযোগ দেয়া হয়েছিল। সম্পূর্ণ বেসরকারি খাতের উপর নীর্ভরশীলতার জন্য কখনোই কোন সরকার দিয়েছে বলে আমার মনে হয় না। ”

একটি দেশের স্বাস্থ্য খাতকে সে দেশের সরকার কতটা গুরুত্ব দেয় সেটি বোঝা যায় স্বাস্থ্যখাতে কত টাকা খরচ করছে তার উপর ভিত্তি করে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টের তথ্য দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির মাত্র ০.৬৯ শতাংশ খরচ করে বাংলাদেশ সরকার।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেছন, বেসরকারি খাতের উপর অতি নির্ভরশীলতার কারণেই এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথের ড. মোশতাক চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের জিডিপির পয়েন্ট ফোর পার্সেন্ট সরকারের হেলথ প্রোগ্রামে দেয়া হয়। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে কম। শ্রীলংকাতেও তারা আমাদের চারগুণ বরাদ্দ দেয়। এটা তো জানা বিষয় যে আমাদের পাবলিক হেলথ সেক্টরটা গত তিন চার দশকে অবহেলার মধ্য দিয়ে গেছে।”

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইয়াসমিন হেমায়েত উদ্দিন মনে করেন, সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সেখানে ব্যবস্থাপনার মান উন্নত করা হলে রোগীরা বেসরকারি খাতের উপর নির্ভরশীল হবে না। তার মতে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করার ব্যাপারে কোন দূরদর্শিতা নেই।  সূত্র : বিবিসি বাংলা।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় খাত খেসারত, দিচ্ছে নির্ভর বাংলাদেশের বেসরকারি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা হওয়ার,
Related Posts
প্রকল্প অনুমোদন

একনেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

December 23, 2025
বিজিবি

সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

December 23, 2025
সিগারেট জব্দ

শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৩০ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ

December 23, 2025
Latest News
প্রকল্প অনুমোদন

একনেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

বিজিবি

সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

সিগারেট জব্দ

শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৩০ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ

পুলিশ

নতুন দায়িত্ব পেলেন পুলিশ সদরদপ্তরের ৬ ডিআইজি

ডিসি-এসপি

ডিসি-এসপিদের সঙ্গে বৈঠকে ইসি

প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচন হবে, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা

প্রণয় ভার্মা

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

সংসদ নির্বাচন : প্রবাসী নিবন্ধন ছাড়ালো ৫ লাখ ৯৪ হাজার

তলব

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

সংঘর্ষ

ছাত্রদল-এনসিপির সংঘর্ষে আহত ১০

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.