জুমবাংলা ডেস্ক : স্বাস্থ্য অধিদফতরের মেডিকেল এডুকেশন শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সাময়িক বরখাস্ত) মো. আবজাল হোসেনের ১৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের পৃথক দুই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালতে রিমান্ডের শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল, মীর আহমেদ আলী সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
শুনানিতে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আবজাল হোসেনের রিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭২৩ টাকা মানিলন্ডারিং, ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার সম্পদের তথ্যগোপনসহ ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় অর্থপাচারের তথ্য পাওয়া গেছে।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম শুনানিতে বলেন, আমামি যখন গ্রেফতার হবে, তখন রিমান্ড হবে। আসামি আত্মসমর্পন করে কারাগারে ছিলেন। আইন অনুসারে এখন তার রিমান্ড হয় না। এটা হলে আইনের ব্যতয় ঘটবে। এ ছাড়া মামলার এজাহারে সম্পদের যাবতীয় তথ্য দেয়া হয়েছে। এখন রিমান্ডে নেয়া সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
জবাবে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য উপস্থাপন করছেন। ভ্রান্ত ধারণা প্রতিষ্ঠা করা ঠিক না। আইন অনুসারে আপনিই (আদালত) প্রথম আদালত ও আপনিই শেষ আদালত। আসামির রিমান্ড দেয়ার এখতিয়ার আপনার (আদালত) রয়েছে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই মামলায় সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডের ওই আদেশ দেন। রিমান্ড শুনানি উপলক্ষে আবজালকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।