জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন, জায়গা দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিকবার গ্রেপ্তার হওয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাফিজকে সুরক্ষা করতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব দিদার হোসেন দিদারের একটি বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ওই বক্তব্যে দিদার হোসেন প্রকাশ্যে স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত হাফিজকে সমর্থনের ঘোষণা দেন। তার এই বক্তব্যে জেলাজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নান্দিয়াপাড়া চৌরাস্তায় একটি সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপি নেতা দিদার হোসেন। এ সময় উপস্থিত তার অনুগত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দিদার হোসেন বলেন, মাইকে আমার এসব বলা ঠিক হচ্ছে না, তবুও তোমরা শুনো আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরে আমি ওনার (হাফিজ) থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পেয়েছি। এখন সময় এসেছে আমার, উনাকে সহযোগিতা করার। কেউ যেন হাফিজের কোনো ক্ষতি না করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাফিজ দেওটি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি নেতাকর্মীসহ স্থানীয়দের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে নান্দিয়াপাড়া চৌরাস্তায় হাফিজের অত্যাচারে গত ১৬ বছর একসাথে দুইজন বিএনপি কর্মী চলতে পারেননি। সে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করতো। এমনকি দুইবার অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারও হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, শুরহলী গ্রামের পারভেজ নামে এক বিএনপি কর্মীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে বেদম মারধর করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাফিজ। এতে গুরুতর আহত হয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতেও হয়। আরেক বিএনপি কর্মী আমেরিকা প্রবাসী জিয়াউল হকের নান্দিয়াপাড়া চৌরাস্তার জায়গা-জমি শেখ হাসিনার শাসনামলে দখল করে আওয়ামী লীগের অফিস তৈরি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই জায়গাটি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দখল করে রাখেন হাফিজ।
এদিকে, দিদার হোসেনের ওই বক্তব্য স্থানীয় রাজনীতিতে এক ভয়াবহ সংকেত হিসাবে দেখছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ দিদার হোসেন নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বিএনপি কর্মী বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আওয়ামী লীগের মতো স্থানীয় বিএনপিও বিপদে পড়বে।
ভাইরাল ভিডিওটি নিজের বলে স্বীকার করে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব দিদার হোসেন দিদার বলেন, ওই রাতে ১২টায় আমরা দলীয় অফিস উদ্বোধনকালে একটি সভা করি। সেখান থেকে হাফিজের বাড়ি ৩০০ গজের মধ্যে, আমার উপস্থিতিতে কেউ যাতে তার বাড়িতে হামলা না করে, তাই ওই বক্তব্য দিয়েছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি বলেন, ভিডিওটি আমি দেখিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।