জুমবাংলা ডেস্ক : ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিচুর রহমান মিঠু মালিথাকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ মিঠু মালিতার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় দুইটি ও ঢাকায় একটি মামলা রয়েছে। কালের কণ্ঠের প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত-
জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে মিঠু পলাতক ছিলেন।
সবশেষ গত কয়েকদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ নেতা জেলার মহেশপুরে অবস্থান করছিলেন। ওই এলাকায় থাকার সময়ে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার আশ্রয়ে থাকতেন তিনি। স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা জিয়ার অফিসে তাকে বসতে দেখেছেন বলে জানান।
গত শুক্রবার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজুলের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিঠু মালিতা।
খবর পেয়ে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে স্থানীয় জনতা। পরে বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান জিয়ার লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পালাতে সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানান, ৫ আগস্টের পরে মহেশপুর উপজেলা পরিষদের সামনে কয়েকদিন মিঠু মালিথাকে দেখেছেন।
বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান জিয়ার সঙ্গে বেশ সখ্যতা আছে মিঠু মালিথার। ৪ দিন আগেও বিএনপি নেতা জিয়ার সঙ্গে তাকে মহেশপুরে দেখা গেছে।
জেলা কৃষকদলের সদস্য মোহাম্মদ উল্লাহ শাওকী তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর মহেশপুর বর্ডার দিয়ে একাধিক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা এবং কর্মীরা ভারতে পালিয়ে গেছে বলে গেছে বলে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মহেশপুরের বোয়ালিয়া গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য হাফিজুলের বাড়িতে পাচারের জন্য প্রস্তুত ছিল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি, কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিন্টুর ক্যাডার নামে পরিচিত মিঠু মালিথা।
খবর পেয়ে এলাকার জনসাধারণ বাড়িটা ঘিরে ফেলে এবং তাকে পুলিশে দেওয়ার জন্য খবর দেয়।
কিন্তু আগেই খবর পেয়ে শীর্ষস্থানীয় সুবিধাভোগী নেতারা দ্রুত সেখানে ছুটে যায় এবং জনগণের কাছ থেকে মিঠু মালিথাকে ছাড়িয়ে নিয়ে তাকে পালাতে সাহায্য করে। এ ঘটনায় প্রশাসন কেন নীরব ভূমিকা পালন করছে তা রহস্যজনক।’
মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘৫ আগস্টের পর মিঠু মালিথার সঙ্গে মহেশপুর শহরে কয়েকবার দেখা হয়েছে। শুনেছি তিনি এখানে তার খালাতো ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। তাকে ভারতে পালাতে আমি কোনো সহযোগিতা করিনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘বোয়ালিয়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অবস্থান করছিলেন এমন খবর স্থানীয়রা জানায়। পরে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে তাকে পায়নি।’
আগে জাতীয় নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, ভিন্ন পথে বিএনপি-জামায়াত
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।