স্মার্টফোন কেনার আগে ১০টি বিষয় জানা জরুরি
যারা মোবাইলফোন কিনতে প্ল্যান করতেছেন তাদের জন্য কিছু জিনিস জেনে রাখা জরুরী। বাজারে প্রতি মাসে অনেক স্মার্টফোন আসতেছে, যার মধ্যে থেকে নিজের প্রয়োজনীয় মোবাইল ফোনটি বেছে নেওয়া খুবই কঠিন। কারণ এখন প্রতিটি স্মার্টফোন মডেলেনতুন বিষয় সংযুক্ত হচ্ছে যেগুলোর কারণে কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটা কিনবেন তা কঠিন হয়ে পড়ে।
২০২১ সালে এসে স্মার্টফোন কোন বিলাসিতা কিংবা আয়েশের বস্তু নয় বরং এটা আপনার ডিজিটাল লাইফের জন্য অত্যাবশ্যক এক যন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের আবার এখন নতুন স্মার্টফোন কেনা কিংবা দুই দিন পর পর স্মার্টফোন বদলানোটা শখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কিন্তু এক না। অধিকাংশ ব্যবহারকারীই নতুন স্মার্টফোন কেনার আগে বাজেট, ফিচার, স্থায়িত্ব ও অন্যান্য বিষয় চিন্তা করে থাকেন।
স্মার্টফোন কেনার আগে ১০টি বিষয় জানা জরুরি। সবার আগে আপনাকে জানতে হবে আপনি কি কাজে স্মার্টফোন কিনবেন। নতুন স্মার্টফোন কেনার আগে একজন ইউজারকে অব্যশই বাজেট, ফিচার, স্থায়িত্বকাল, প্রোডাক্ট কোয়ালিটি এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
১. ডিজাইন
যে কোনো স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর ডিজাইন। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন রকম ডিজাইনের স্মার্টফোন রয়েছে। তাই আগে থেকেই মনস্থির করুন কোন ডিজাইনের স্মার্টফোন আপনার ভালো লাগে। নিজের ব্যক্তিগত চাহিদা এবং রুচি অনুযায়ী ডিজাইন পছন্দ করাই ভালো। তাই এ বিষয়ে আর কিছু বললাম না।
২. ডিসপ্লে
একটি ভালো মানের স্মার্টফোনের সাথে ভালো কোয়ালিটির ডিসপ্লে থাকা আবশ্যক। বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ স্মার্টফোনে ৫-৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে দেখতে পাওয়া যায়। আপনি কত ইঞ্চির ডিসপ্লে সমৃদ্ধ স্মার্টফোন নিবেন এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর।
আপনি যদি স্মার্টফোনে বেশি ভিডিও দেখাতে বা গেম খেলতে পছন্দ করেন তাহলে আপনি বড় আকারের ডিসপ্লে নিতে পারেন। আমি আপনাকে কমপক্ষে এইচডি রেজ্যুলেশনের ফোন নিতে রিকমেন্ড করবো।
বর্তমানে স্মার্টফোনগুলোতে ফুল এইচডি ডিসপ্লে থেকে শুরু করে ৪কে রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি যদি বেশি রেজ্যুলেশন ডিসপ্লের স্মার্টফোন কেনেন তাহলে এতে সবকিছুই আরো বেশি স্পষ্ট বা উজ্জ্বল দেখাবে। এটাই স্বাভাবিক!
স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে স্ক্রিনের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাতও কিন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে স্মার্টফোনেগুলোতে ডিসপ্লের এস্পেক্ট রেশিও ১৮:৯ কিংবা ১৮.৫:৯ হয়ে থাকে। তবে অনেক ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনে এখন ১৯:৯ এস্পেক্ট রেশিও দেখতে পাওয়া যায়।
বর্তমানে এলসিডি, টিএফটি, আইপিএস, ওলেড সহ বেশ কয়েকটি ডিসপ্লে প্যানেলের স্মার্টফোন বাজারে পাওয়া যায়। স্মার্টফোন কেনার সময় এদিকেও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। কেননা এর উপরই ডিসপ্লের কালার সহ অন্যান্য বিষয় নির্ভর করে। আবার স্মার্টফোনের ডিসপ্লে প্যানেল স্মার্টফোনটির দামের উপরও কিছুটা প্রভাব ফেলে।
সাধারণত এলসিডি থেকে ওলেড ডিসপ্লে প্যানেল বেশি ভালো হয়ে থাকে। ডিসপ্লের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় হলো এর টাচস্ক্রীন। বর্তমানে মাল্টি-টাচস্ক্রীন, ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রীন, শুধু টাচস্ক্রীন এই তিন ধরনের টাচস্ক্রীন সমৃদ্ধ ফোন পাওয়া যায়। টাচস্ক্রীনের ক্ষেত্রে মাল্টি-টাচস্ক্রীন সবচেয়ে ভালো হবে।
৩. আপারেটিং সিস্টেম
আপনি যদি স্মার্টফোন কেনার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনি কোন অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন কিনবেন সেটা নিয়েও ভাবতে হবে। স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অপারেটিং সিস্টেম হলো সেই সফটওয়্যার যার সাথে আমরা প্রতিদিনই ইন্টারঅ্যাক্ট করে থাকি। স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম মূলত কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের মতোই। বর্তমানে স্মার্টফোনে ব্যবহৃত গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ওএস এবং অ্যাপলের আইওএসও দুটিই জনপ্রিয়।
তবে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিচারে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত স্মার্টফোন সবচেয়ে বেশি। এর প্রধান কারণ হলো এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। অর্থাৎ যেকোন কোম্পানিই এটি ব্যবহার করতে পারবে। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোনে আপনি আধুনিক সব ফিচারই পাবেন।
এই অপারেটিং সিস্টেম চালিত স্মার্টফোন বেশি হওয়ায় প্রায় সকল স্মার্টফোন অ্যাপ ডেভেলপারই এর জন্য অ্যাপ তৈরি করে থাকে। এবার আসি অ্যাপলের আইওএসও এর দিকে। অ্যাপলের এই অপারেটিং সিস্টেমও জনপ্রিয়; তবে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের চেয়ে তুলনামূলক কম।
এর কারণ হতে পারে এটি ফ্রি নয় এবং আইওএসও চালিত অ্যাপলের স্মার্টফোনগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি। তবে একটা কথা মানতেই হবে যে এই অপারেটিং সিস্টেম অনেক ফিচার-রিচ এবং এর অ্যাপ স্টোরও অনেক সমৃদ্ধ।
এখন বাজারে আপনি নানান ভার্সনের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন পাবেন। তবে লেটেস্ট ভার্সনের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন কেনাটায় উত্তম। এটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে। যদি কোনো কারণে আপনার পক্ষে লেটেস্ট ভার্সনের স্মার্টফোন কেনা সম্ভব না হয়, তাহলে এক ধাপ পুরনো অপারেটিং সিস্টেম নিতে পারেন।
৪. প্রসেসর
কম্পিউটারের মতো স্মার্টফোনেরও প্রধান প্রাণ হচ্ছে প্রসেসর। এটাকে আপনি চিপসেট বলেন বা প্রসেসর বলেন স্মার্টফোনের সব ডেটা এটাই প্রসেস করে থাকে। তাই স্মার্টফোনের ডেটা দ্রুত প্রসেস করার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী একটি প্রসেসর।
প্রসেসর যত বেশি শক্তিশালী হবে এটি তত দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হবে। একটি প্রসেসরের পারফরম্যান্স নির্ভর করে এতে থাকা ক্লক স্পিড, কোর সংখ্যা সহ আরো বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর।
ইন্টেল, কোয়ালকম, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, অ্যাপল, মিডিয়াটেক সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি স্মার্টফোনের জন্য প্রসেসর তৈরি করে থাকে। বর্তমানে ব্যবহারকারী বিচারে মিডিয়াটেক এগিয়ে রয়েছে। তবে পারফরমেন্স বিচারে কিন্ত এগিয়ে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন।
স্যামসাংয়ের এক্সিনস, হুয়াওয়ের কিরিন, অ্যাপলের প্রসেসর এগুলো শুধু তাদের নিজেদের স্মার্টফোনে ইউজ করতে দেখা যায়। আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনে মাল্টিটাস্কিং বা গেমিং করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে ভালো একটি প্রসেসর আপনার দরকার হবে।
বর্তমানে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮, ৮৬৫, ৮৫৫, ৮৪৫, ৮৩৫, ৭৩০, ৭১২; স্যামসাং এর এক্সিনস ৯৮২৫, ৯৮২০, ৯৮১০, ৮৮৯৫, ৮৮৯০, মিডিয়াটেক হেলিও পি৯৫, পি৯০, পি৭০, এক্স৩০ ইত্যাদি খুব ভালো মানের প্রসেসর।
ভালো মানের ফোন কেনার সময় অবশ্যই উপরে উল্লেখিত কোন একটি প্রসেসর অবশ্যই আপনার স্মার্টফোনে থাকা জরুরী।
৫. জিপিইউ
স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে চিপসেট বা প্রসেসরের পাশাপাশি আরেকটি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। সেটি হলো জিপিইউ বা গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট।
প্রসেসর স্মার্টফোনে ডেটা দ্রুত প্রসেস করার কাজ করে। অন্যদিকে জিপিইউ গেমিং পারফর্মেন্স, ফ্রেম রেট, গ্রাফিক্স সহ আরো অনেকগুলো বিষয় হ্যান্ডেল করে থাকে।
তাই ভালো প্রসেসরের পাশাপাশি ভালো জিপিইউ থাকাটাও কিন্তু প্রয়োজনীয়। বর্তমানে অ্যাড্রিনো ৬৬০, ৬৫০, ৬৪০, ৬৩০; ম্যালি জি-৭৮, জি-৭৭, জি-৭৬ জি-৭২; পাওয়ার ভিআরের লেটেস্ট সিরিজের জিপিইউ গুলো অনেক ভালো মানের হয়ে থাকে।
স্মার্টফোন কেনার সময় অবশ্যই ভালো জিপিইউ সম্বলিত স্মার্টফোনটি কেনার চেষ্টা করবেন। কারণ পরবর্তীতে আপনি কিন্তু এতে কম্পিউটারের মতো ডেডিকেটেড জিপিইউ লাগানোর সুযোগ পাবেন না।
৬. র্যাম
স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো র্যাম। এটি এমন একটি যন্ত্রাংশ যেটি স্মার্টফোনের যেকোনো প্রসেস এবং অ্যাপস রান করাতে প্রসেসরকে সাহায্য করে। এটি অস্থায়ী মেমোরি হিসেবে কাজ করে।
স্মার্টফোনে র্যাম যত বেশি হবে আপনার ফোনও তত ভালোভাবে চলাতে পারবে এবং ব্যাকগ্রাউন্ডেও আপনি অনেকগুলো অ্যাপ একসাথে রান করাতে পারবেন।
তবে বেশি র্যামের স্মার্টফোনগুলোর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনার কি পরিমাণ র্যাম লাগবে এটা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নিতে হবে। বর্তমানে সময়ে স্মার্টফোনে স্মুথ পারফরম্যান্স পেতে হলে আপনার ফোনে কমপক্ষে ৩ জিবি র্যাম থাকাটা আবশ্যক।
বর্তমানে লো-ইন্ড স্মার্টফোনগুলোতে ১ জিবি, মিডরেঞ্জর স্মার্টফোনগুলোতে ২ থেকে ৪ জিবি এবং ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোতে ৬ থেকে ৮ জিবি পর্যন্ত র্যাম দেখতে পাওয়া যায়।
৭. স্টোরেজ
স্মার্টফোনে রম বা স্টোরেজ স্থায়ী মেমোরি হিসেবে কাজ করে। এখানে মূলত অপারেটিং সিস্টেম ও এর অ্যাপস থাকে। বাকি অংশে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো স্টোর করে রাখতে পারবেন।
তবে ইন্টারনাল স্টোরেজ ৮০% ইউজ হওয়ার পর এতে আর ফাইল না রাখায় ভালো। আপনার স্মার্টফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ কত হবে সেটা আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে।
তবে আমি আপনাকে ৩২ জিবি স্টোরেজের ফোন নিতে রিকমেন্ড করবো। আর বর্তমানে প্রায় সব স্মার্টফোনেই মাইক্রোএসডি বা মেমরি কার্ড স্লট ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। তাই আপনাকে স্টোরেজ নিয়ে না ভাবলেও চলবে।
৮. ক্যামেরা
বর্তমানে স্মার্টফোনের ক্যামেরাগুলো আগের থাকে অনেক উন্নত হয়েছে। এখনকার স্মার্টফোনে অনেক শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহার করতে দেখা যায়। একসময় স্মার্টফোনের সামনে এবং পিছনে একটা ক্যামেরা দেখতে পাওয়া যেত। তবে সময়ের সাথে সাথে এই সংখ্যা বেড়েছে।
অনেকে মনে করেন স্মার্টফোনের ক্যামেরার রেজ্যুলেশন বা মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে স্মার্টফোনে তোলা ছবি ততো ভালো হবে। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। ক্যামেরা দিয়ে তুলা ছবি কতটা ভালো বা খারাপ হবে তা অনেকাংশে অ্যাপারচার, সেন্সর, লেন্স ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে কম মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দিয়েও বেশি মেগাপিক্সেল ক্যামেরার তুলনায় সুন্দর ছবি পাওয়া সম্ভব। ক্যামেরার ক্ষেত্রে অ্যাপারচার যত কম হবে ক্যামেরা তত বেশি আলো ক্যাপচার করতে পারবে। ভালো ছবি তুলার ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশনেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
স্মার্টফোন দিয়ে বর্তমানে ফুল এইচডি বা ৪কে রেজুলেশনেও ভিডিও করা যায়। স্মার্টফোন কেনার সময় এদিকেও লক্ষ্য রাখবেন। এমন স্মার্টফোন কিনবেন যেটা দিয়ে কমপক্ষে এইচডি রেজুলেশনে ভিডিও ক্যাপচার করা যায়।
৯. ব্যাটারি
স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে ব্যাটারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা আপনি যত দামী স্মার্টফোন কিনেন না কেন এর ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কম হলে সবকিছুই বৃথা যাবে।
বর্তমানে বাজারে ৪ বা ৫ হাজার মিলিএম্পিয়ারের স্মার্টফোন দেখতে পাওয়া যায়। আপনার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কেমন দরকার তা নির্ভর করে আপনার ব্যবহার করার ধরনের উপর। আপনি যদি হেভি ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে ভালো ব্যাটারি ক্যাপাসিটির স্মার্টফোন অবশ্যই কিনবেন।
আমি আপনাকে কমপক্ষে ৩ হাজার মিলিএম্পিয়ারের স্মার্টফোন নিতে রিকমেন্ড করবো। হেভি ইউজের জন্য আপনি ৪ হাজার মিলিএম্পিয়ার বা তার চেয়ে বেশি মিলিএম্পিয়ারের স্মার্টফোন নিতে পারেন।
স্মার্টফোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটির পাশাপাশি ফোনটি কুইক চার্জ সাপোর্ট করে কিনা সেদিকেও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। আপনার ফোন কুইক চার্জ সমর্থিত হলে তাড়াতাড়ি চার্জ হবে, এতে আপনার মূল্যবান সময় বেঁচে যাবে।
১০. বাজেট
স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বাজেটের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমানে আপনি বাজারে বিভিন্ন বাজেটের স্মার্টফোন পাবেন। একটি স্মার্টফোনের দাম সবসময় নির্ভর করে স্মার্টফোনটিতে থাকা ফিচার এবং কনফিগারেশনের উপর।
আপনার বাজেটের মধ্যে যে স্মার্টফোনে সবচেয়ে বেশি ফিচারস রয়েছে আপনি সবসময় সেই স্মার্টফোনটি কেনার চেষ্টা করবেন। এটাই হবে আপনার জন্য বেস্ট। এক্ষেত্রে আপনি গুগলে বিভিন্ন স্মার্টফোনের মডেল লিখে সার্চ করতে পারেন।
আশা করি আপনি সেখানে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। বর্তমানে শাওমি, হুয়াওয়ে, অপো, বিভো সহ বিভিন্ন স্মার্টফোন ব্র্যান্ড কম দামে অসাধারণ সব স্মার্টফোন অফার করছে।
আর আপনার বাজেট যদি বেশি থাকে তাহলে স্যামসাং বা অ্যাপলের মতো কোম্পানির তৈরি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো কিনতে পারেন। ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো সবসময় ফিচার-রিচ হয়ে থাকে এবং এগুলোতে লেটেস্ট সব টেকনোলজিও আপনি পেয়ে যাবেন।
এই ছিলো স্মার্টফোন কেনার আগে জানা প্রয়োজন এমন কয়েকটি বিষয়। আর্টিকেলে কোন রকম ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
তথ্য সূত্রঃ- ইন্টারনেট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।