বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়ার স্মার্টফোন বাজারে গত জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। বাজারের সরবরাহ ৩% কমে ২ কোটি ২৮ লাখ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশ নিচে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং মূল্যস্ফীতি এই পতনের জন্য দায়ী। নতুন এই রوجهানিতে, স্যামসাং তথা শাওমি অন্যতম শীর্ষ প্রকল্প হিসাবে এ বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে।
Table of Contents
স্মার্টফোনের বাজার পরিবেশের পরিবর্তন
২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে স্মার্টফোনের সরবরাহ কমে যাওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। ক্যানালিসের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে স্মার্টফোন সরবরাহের এই পতন পূর্ববর্তী পাঁচ প্রান্তিকের তুলনায় একটি বিশাল পরিবর্তন। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মূল্যস্ফীতির চাপ এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে গ্রাহকদের মধ্যে চাহিদা কমে যাওয়ার কারণেই গড় বিক্রয়মূল্যে ৫% বৃদ্ধি দেখা গেছে।
দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, এবং থাইল্যান্ডসহ সকল জায়গায় প্রযুক্তির জন্য বিনিয়োগ বাড়ছে। এই অঞ্চলের দেশগুলোর বাজারে স্যামসাং এর আধিপত্য ১৯% এবং শাওমির ১৭% বাজার ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে। যারা বাস্তবায়নে সফল হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম দুইটি সংস্থা এই দুই ব্র্যান্ড।
স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষ কোম্পানির অবস্থা
- স্যামসাং: ৪৩ লাখ ইউনিট সরবরাহ করে বাজারে ১৯% শেয়ার ধারণ করছে। তাদের গত বছরের তুলনায় সরবরাহে ২% পতন হয়েছে।
- শাওমি: ৪০ লাখ ইউনিট সরবরাহ করেছে, যা ৪% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সরকারী হিসাব অনুযায়ী, শাওমি তাদের নোট সিরিজের মাধ্যমে বিক্রি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।
- ট্রান্সশান: তাদের বাজারে হার ১৫% তে অবস্থিত, কিন্তু সরবরাহ ২০% কমে গেছে।
- অপো এবং ভিভো: অপো ১৪% এবং ভিভো ১২% বাজার শেয়ার দখল করে আছে, যেখানে ভিভোর V সিরিজে ৩৪% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে।
বাজারের ভবিষ্যৎ: মন্দার অবসান?
বিশ্লেষকেরা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, ২০২৪ সালের শেষ দিকে বাজার নতুন দিগন্তের দিকে অগ্রসর হতে পারে যদি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যায়। বিশেষ করে, ছুটির মৌসুমের পণ্য সরবরাহ বাজারের প্রবণতা পরিবর্তনে সহায়ক হতে পারে। তবে, মধ্যম মূল্যের স্মার্টফোনের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে বিক্রয় চ্যানেলে বৈচিত্র্য এনে অন্য ব্র্যান্ডগুলোকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
📊 শীর্ষ পাঁচ ব্র্যান্ডের পরিস্থিতি
ব্র্যান্ড | সরবরাহ (লক্ষ ইউনিট) | বাজার অংশ (%) | বার্ষিক পরিবর্তন |
---|---|---|---|
স্যামসাং | ৪৩ | ১৯ | –২ |
শাওমি | ৪০ | ১৭ | +৪ |
ট্রান্সশান | ১৫ | –২০ | |
অপো | ১৪ | –১৬ | |
ভিভো | ১২ | +৩৪ (V সিরিজে) |
বাজারের প্রবণতা বিশ্লেষণ
এই পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু প্রতিষ্ঠান নিজেদের বিক্রয় চ্যানেল এবং প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে সফল ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। উদাহরণস্বরূপ, শাওমি তাদের ৫জি ফোনের বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারায় স্থানীয় বাজারে ৩৯% অবদান রেখেছে।
দক্ষতার সঙ্গে অভিযোজন
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে স্মার্টফোনগুলোর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যতকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। বিকল্প ভবিষ্যতের পরিবেশ তৈরি করতে ব্যবসায়ীরা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাতে আস্থা এনে দিতে পারে।
একটি তথ্যসূত্র হিসেবে, ক্যানালিসের রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত তথ্যগুলোর প্রতি দৃষ্টি রাখা গেলে, সঠিকভাবে বাজার গবেষণা এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতা মূল্যায়নের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো আশা রাখছে যে, আগামীতে বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তনের সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।
ফোল্ডেবল ফোন: আধুনিক প্রযুক্তির আসন্ন পরিবর্তন এবং কেন কিনবেন?
FAQ: স্মার্টফোন বাজারের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে
- বর্তমান স্মার্টফোন বাজারের অবস্থা কেমন?
- স্মার্টফোনের সরবরাহ ৩% কমে ২ কোটি ২৮ লাখ ইউনিট হয়েছে, যা বাজারের অস্থিতিশীলতায় দায়ী।
- সর্বাধিক বিক্রিত স্মার্টফোন ব্র্যান্ড কোনটি?
- স্যামসাং সর্বাধিক ৪৩ লাখ ইউনিট সরবরাহ করে বাজারের ১৯% ধারণ করছে।
- শাওমির বাজার অংশ কতো?
- শাওমির বাজার অংশ হলো ১৭%, তারা ৪০ লাখ ইউনিট সরবরাহ করেছে এবং ৪% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
- বাজারের পতনের কারণ কী?
- অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতি স্মার্টফোনের চাহিদার উপর প্রভাব ফেলছে।
- ভবিষ্যতে বাজারের কি অবস্থা হতে পারে?
- ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাজারটা উন্নতির দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- কীভাবে কোম্পানিগুলো পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিচ্ছে?
- বিক্রয় চ্যানেলগুলোর বৈচিত্র্য বাড়িয়ে ও নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসার মাধ্যমে কোম্পানিগুলো পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।