বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ২০২১ সালে স্মার্টফোন বিক্রিতে বৈশ্বিক আয় ৪৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। কভিড-১৯ মহামারীর বিধিনিষেধ ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংকটের মধ্যেও বছরওয়ারি আয় ৭ শতাংশ এবং প্রান্তিক আয় ২০ শতাংশ বেড়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর আইএএনএস।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্যানুযায়ী, স্মার্টফোনের গড় বিক্রি মূল্য (এএসপি) গত বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। মূলত ফাইভজি স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ায় মূল্য বেড়েছে। সাধারণত ফোরজি স্মার্টফোনের তুলনায় ফাইভজি স্মার্টফোনের দাম বেশি। পাশাপাশি অ্যাপলের আইফোন ১৩ সিরিজের বাজারজাতও বিক্রি বাবদ আয়ে ভালো প্রভাব ফেলেছে।
২০২১ সালে ফাইভজি কানেক্টিভিটি সম্পন্ন একাধিক ডিভাইস বাজারজাত করা হয়েছে। মূলত শাওমি, ভিভো, অপো ও রিয়েলমির মতো প্রতিষ্ঠান ভারত, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, লাটাম এবং পূর্ব ইউরোপের ক্রমবর্ধমান বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যের ফাইভজি স্মার্টফোন উন্মুক্তের মাধ্যমে ব্যাপক চাহিদা পূরণের চেষ্টা চালিয়েছিল। ফলস্বরূপ ২০২১ সালে মোট বিক্রীত স্মার্টফোনের ৪০ শতাংশজুড়ে ছিল ফাইভজি স্মার্টফোন। যেখানে ২০২০ সালে এ হার ছিল ১৮ শতাংশ।
কভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বে রিমোট ওয়ার্ক, শিক্ষা ও বিনোদন গ্রহণের ধারা শুরু হয়। সে সময় মিডরেঞ্জ ও প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির স্মার্টফোন বিক্রি বেড়ে যায়। এসব কাজের জন্য নতুন ও উন্নত ডিভাইস ক্রয়ে অনেকেই আগ্রহী হয়ে ওঠে। সবশেষ বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সংকট তৈরি হওয়ায় বেশকিছু অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারাররা তাদের এন্ট্রি ও মিডলেভেল স্মার্টফোনগুলোর দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।
গত বছর স্মার্টফোন বিক্রি বাবদ আইফোনের আয় ৩৫ শতাংশ বেড়ে ১৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। কুপারটিনোভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটি মোট আয়ের ৪৪ শতাংশ দখল করে নিয়েছিল। ফাইভজি সুবিধা সম্পন্ন আইফোন ১২ ও ১৩ সিরিজের ক্রমবর্ধমান চাহিদা অ্যাপলের এএসপি ১৪ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করেছে। ২০২১ সালে যা ৮২৫ ডলারে পৌঁছেছে। প্রতিষ্ঠানটি ভারত, থাইল্যান্ড ও ব্রাজিলের মতো ক্রমবর্ধমান বাজারে বাজার হিস্যা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
স্মার্টফোন বিক্রি বাবদ স্যামসাংয়ের আয় আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেড়ে ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ২০২০ সালে যার পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টটির স্মার্টফোন এএসপি ৫ শতাংশ বেড়ে ২৬৩ ডলারে পৌঁছেছে। মিড রেঞ্জ ও প্রিমিয়াম সেগমেন্টে গ্যালাক্সি এস সিরিজ ও ফাইভজি স্মার্টফোনের শেয়ার বাড়ানোর মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজার হিস্যা বাড়াতে পেরেছে স্যামসাং। তবে নিরাপত্তা ত্রুটিযুক্ত স্মার্টফোন বিক্রির অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানায়, ত্রুটিপূর্ণ স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্যালাক্সি এস৮, এস৯, এস১০, এস২০, এস২১। এ স্মার্টফোনগুলো আর্মস ট্রাস্টজোন সিস্টেমের মাধ্যমে ক্রিপ্টোগ্রাফিক কি সংরক্ষণ করে বলে স্যামমোবাইলের প্রতিবেদনে প্রথম উঠে আসে। এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবস্থার কারণে স্ক্যামার ও হ্যাকাররা ফোনগুলোর এনক্রিপশনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার দুর্বল দিকগুলো সম্পর্কে সহজেই তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।