জুমবাংলা ডেস্ক : গ্রামীণ ব্যাংকের অফিসারকে স্যার না ডেকে ভাই ডাকায় এক গ্রাহকের সঙ্গে অসদাচরণ ও ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া ওই সেকেন্ড ম্যানেজার ফোনটিও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী। একটি ভিডিও থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা হরিরামপুর শাখায়। ভাই বলে সম্বোধন করায় ক্ষিপ্ত হওয়া ব্যক্তির নাম আবুল কালাম আজাদ। উনি ঐ শাখায় সেকেন্ড ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।
ভুক্তভোগীর করা ভিডিওতে দেখা যায়, আবুল কালাম আজাদকে ভুক্তভোগী গ্রাহক বলছে, সম্মান দিয়ে ভাই বলা কি অপরাধ? এখন আপনাদের ভাই বলা যাবে না? স্যার’ই বলতে হবে? প্রতি উত্তরে আবুল কালাম আজাদ বলছেন, ভাই বলা যাবে না স্যার বলবেন। আপনি ভদ্রতা দেখান। গ্রামীণ ব্যাংকের সবাইকেই স্যার বলতে হবে। ভুক্তভোগীর প্রশ্ন কেনো? প্রতি উত্তরে আজাদ আবার বলেন, বলতে হবে এটাই নিয়ম। এটা সবাই বলে। পরে গ্রাহক পালটা প্রশ্ন করলে, তিনি বলেন আপনি এতো বার্গেনিং করেন কেনো। আপনার কোন সম্পর্কের ভাই উনি (ম্যানেজার)। পরে ভুক্তভোগী গ্রাহকের দিকে আঙ্গুল তুলে কথাবার্তা সাবধানে বলার হুমকি দেন। পরে গ্রাহক আঙ্গুল নামাতে বললে, আবুল কালাম আজাদ গ্রাহককে মারতে উদ্যত হয়ে ধাক্কা দিয়ে ব্যাংক থেকে বের করে দেন ও মোবাইল কেড়ে নিতে চেয়ে তা ব্যর্থ হন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত ভিডিওটি ভাইরাল হলে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী সুব্রত সন্ন্যাসী বলেন, বুধবার দুপুরে টাকা তুলতে একটি চেক নিয়ে আমি ব্যাংকে যাই। পরে তারা আমাকে কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখে বলেন, আগামীকাল আসার জন্য। তখন আমি, ম্যানেজারকে বলি ভাই কালকে কখন আসব? এটা বলার পরেই সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং আমাকে ভাই বাদ দিয়ে স্যার বলে সম্বোধন করতে বলেন। তখন আমি তাকে কয়েকটা প্রশ্ন করলে তিনি আমার দিকে আঙুল তুলে মারতে উদ্যত হয়ে ব্যাংক থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার ভিডিও করায় আমার মোবাইলটাও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, উনি স্যার বললে অসুবিধাটা কোথায়। এইটুকু কথা সহজভাবে নিলেই হয়। এই ছোট বিষয় নিয়ে যদি কেউ তিলকে তাল করে তাহলে আমার কিছু করার নেই।
ঝিটকা শাখার ম্যানেজার অদ্বৈত কুমার মৃধা বলেন, ভাই বলায় কোনো বাধা নেই। তবে প্রত্যেকটা অফিস একটা প্রটোকল অনুযায়ী চলে। সবাই ওটা মেইনটেইন করে। আর তাদের দুজনের সঙ্গে আগের কোনো ঘটনার জেরে হয়তো এই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। এটি নিয়ে আমি সেকেন্ড ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি অনুতপ্ত। আমার কাছে ভুল শিকার করেছেন।
‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে হয়রানি করার ব্যবসা বন্ধ হওয়া দরকার : ব্যারিস্টার ফুয়াদ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।