জুমবাংলা ডেস্ক: স’-ঙ্গ’-ম মানেই গোপনীয়তায় মোড়া ব্যক্তিগত পরিসর। সাধারণত, চার দেওয়ালের মাঝেই লিপ্ত হন নারী, পুরুষ। একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়ে শারীরিক চাহিদা মেটান।
দৈনন্দিন এই রুটিনে বদল আনতে চেয়েছিলেন আফ্রিকার এক প্রেমিক যুগল। তারা ঘরের বাইরে প্রকৃতির কোলে সঙ্গম করতে চেয়েছিলেন। আর সেই ইচ্ছাই ডেকে এনেছিল মৃত্যু। আফ্রিকার দক্ষিণে জিম্বাবোয়ের করিবা শহরের বাসিন্দা ছিলেন শারাই মওয়েরা। ২০১৩ সালে জঙ্গলের মাঝে মৃত্যু হয়েছিল তার। সঙ্গম করতে করতেই নেমে এসেছিল মৃত্যু।
জিম্বাবোয়ের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, প্রকৃতির মাঝে সৃষ্টির আদি খেলায় মেতে উঠেছিলেন সেই প্রেমিক যুগল। ইট, কাঠ, পাথরের দেওয়ালের বাইরে যৌনতার আস্বাদ গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। সঙ্গমকে আবিষ্কার করতে চেয়েছিলেন নতুন রূপে। শারাইয়ের প্রেমিকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। জানা যায়, সিংহের আক্রমণে তরুণীর মৃত্যু হয়েছিল। নিকটবর্তী একটি ঝোপে তারা যৌনতায় লিপ্ত হন। সেখানেই সিংহের হানায় বেঘোরে প্রাণ হারাতে হয় শারাইকে।
তরুণীর মৃত্যু হলেও কোনো রকমে পালিয়ে বাঁচেন তার প্রেমিক। জঙ্গল থেকে সোজা তিনি ছুটে যান থানায়। পরে পুলিশ এবং বনকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আবার সেখানে ফিরে আসেন। প্রেমিকার ক্ষতবিক্ষত, আধখাওয়া দেহটি উদ্ধার হয়। তবে ঘাতক সিংহটিকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল কিনা, তা জানা যায় না। পরবর্তী কালে পুলিশকে যুবক জানিয়েছিলেন, তিনি এবং তার প্রেমিকা শারাই পরিকল্পনা করেই জঙ্গলে মিলিত হতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যে সিংহ চলে আসতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তারা।
যুবক জানান, পরিকল্পনা মতো তারা যখন মুক্ত প্রকৃতির মাঝে মিলিত হচ্ছিলেন, আচমকা সিংহের গর্জন শুনতে পান। চমকে উঠে তাকাতেই তরুণীর ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পশুরাজ। পালানোর সময়ই পাননি শারাই। যুবক কোনো রকমে সেখান থেকে ছিটকে সরে আসেন। তার পরনে ছিল শুধু কনডম। যা খোলার সময়ও তিনি পাননি। কনডম পরেই প্রেমিকাকে ফেলে রেখে পড়িমরি করে ছুটতে শুরু করেন।
ছুটতে ছুটতে সোজা থানায় হাজির হন যুবক। মাঝে কোথাও দাঁড়াননি। তার কথা শুনে অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ এবং বনকর্মীরা। কিন্তু তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় তরুণীর আধখাওয়া দেহ উদ্ধার করা হয়। আফ্রিকার জঙ্গল এমনিতেই সিংহপ্রবণ। পৃথিবীতে মোট জীবিত সিংহের অধিকাংশই পাওয়া যায় এই মহাদেশে। এক সময় পুরো আফ্রিকা জুড়েই সিংহেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত। পরবর্তী কালে মহাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে পশুরাজেরা। সেই পশুরাজের ডেরায় সঙ্গম করতে গিয়েছিলেন যুগল। উদ্ভট এই ইচ্ছাই তাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কখন যে পিছনে স্বয়ং পশুরাজ এসে দাঁড়িয়েছেন, যৌনতার উত্তেজনায় তা খেয়ালও করতে পারেননি কেউ।
অনেকের মতে, যুগলের সঙ্গমকালে যে নানাবিধ শব্দ হচ্ছিল, তা সিংহটিকে আকৃষ্ট করে। সেও মিলনেচ্ছু হয়ে উঠেছিল। হয়তো অন্য কোনো পশু, বা অন্য কোনো পশুরাজ দম্পতি মিলিত হচ্ছে, এই ধারণা নিয়ে ঝোপের দিকে এগিয়েছিল সে। কিন্তু কাছাকাছি পৌঁছে সিংহটি যেই দেখে বিনা পরিশ্রমে শিকার হাতের কাছে এসে ধরা দিয়েছে, আর দেরি করেনি সে। সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শিকারের উপর।
সূত্র: আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।