আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হংকংয়ের লাখো আন্দোলনকারী ফের রাজপথে নেমে শহরটির গুরুতপূর্ণ সব সড়ক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেছে। গতকাল ছাতা হাতে কালো পোশাক পরিহিত আন্দোলনকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে শহরের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান অধ্যুষিত এলাকার দিকে অগ্রসর হলে পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
জানা গেছে, শনিবার হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় ইউয়েন লং শহরে পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার পর দ্বিতীয়দিনের মতো তারা একই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে। গত আট সপ্তাহ ধরেই হংকংয়ে সরকার বিরোধী ও গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভ চলছে এবং দিন দিনই তা সহিংস রূপ নিচ্ছে।
হংকং বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ নগরী হিসাবে খ্যাতি কুড়ালেও বর্তমানে সেখানে সংঘর্ষ এবং প্রতিবাদকারীদের ওপর মুখোশধারীদের হামলার ঘটনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মূলত চীনের কাছে অপরাধী প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রস্তাবিত একটি বিলের বিপক্ষে শুরু হওয়া চীনবিরোধী এ বিক্ষোভ এখন হংকংয়ের স্বাধীনতার আন্দেলনে রূপ নিয়েছে। গতকাল বিক্ষোভকারীরা ‘হংকং এর মুক্তি চাই’ বলেও স্লোগান দেয়। তারা কয়েকটি জায়গায় বেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা চালায়।
১৯৯৭ সালে ব্রিটিশদের থেকে চীনের কাছে হস্তান্তরের পর হংকংয়ের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড়ো বিক্ষোভ। চীনের কাছে হস্তান্তরের সময় যুক্তরাজ্য শহরটির স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিল।
তবে নিজেদের ভূখন্ডভুক্ত হওয়ার পর থেকেই বেইজিং হংকংয়ের গণতান্ত্রিক সংস্কারে বাধা, স্থানীয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও বিরোধীদের ওপর দমন-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ সমালোচকদের।
সূত্র : বিবিসি, সিএনএন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।