আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হংকংয়ে বিশেষ নিরাপত্তা আইনের সাহায্যে একের পর এক গ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। বুধবার দুই বিশিষ্ট জনপ্রতিনিধিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর ডয়চে ভেলে’র।
বিতর্কিত নিরাপত্তা আইনে একের পর গ্রেফতার হয়েই চলেছে হংকংয়ে। বুধবার গ্রেফতার হলেন গণতন্ত্রপন্থী দুই জনপ্রতিনিধি। ২০১৯ সালের জুলাই মাসের একটি বিক্ষোভে অংশ নেয়ার জন্য তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই দুই গ্রেফতার ঘিরে গোটা হংকং জুড়ে নতুন করে জনরোষ গড়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন। তবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করলেই পুলিশ গ্রেফতার করবে বলে হংকং প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বললেও পুলিশ আটক করছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
বুধবার সকালে বাড়ি থেকে দুই বিরোধী জনপ্রতিনিধিকে তুলে নিয়ে যায় হংকং পুলিশ। গণতন্ত্রপন্থী দুই জনপ্রতিনিধির নাম ল্যাম-চেউক-টিং এবং টেড হুই। দুইজনেই হংকং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য। ল্যামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৬ জুলাইয়ের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছিলেন তিনি। যদিও ওই দিনের বিক্ষোভের যে ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ল্যামই আক্রান্ত হয়েছিলেন। সরকারপন্থী হোয়াইট শার্ট গুন্ডারা ল্যামকে ঘিরে ধরে মারছেন, এ দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ওই দিন ল্যামের উপর যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। বুধবার নিজের গ্রেফতারের খবর নিজেই টুইট করেছেন ল্যাম।
টেড হুইকে গ্রেফতার করা হয়েছে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং প্রশাসনের কাজে বাধা দান করার জন্য। ৬ জুলাইয়ের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বস্তুত এই নিয়ে নয় হাজারেরও বেশি মানুষকে গণতন্ত্রের পক্ষে আন্দোলনের জন্য গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার এই দুই জনপ্রনিধি ছাড়াও আরও বেশ কিছু আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিরাপত্তা আইনের সাহায্যে যে কাউকে আটক করছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে কেউ রাস্তাতেও নামতে পারছেন না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিতরে ভিতরে আগুন বাড়ছে। একবার বিস্ফোরণ হলে তা সামলানো মুশকিল হবে। গত বছর ঠিক সে ঘটনাই ঘটেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।