ধর্ম ডেস্ক : শত বছরের ঐতিহ্য অনুযায়ী পবিত্র কাবা শরিফে হজ্জ আনুস্টানিকতার পুর্বে পরানো হয়েছে কিসওয়া বা স্বর্ণখচিত নতুন কালো গিলাফ।
কাবা শরিফ এ গিলাফ দিয়ে আচ্ছাদন কখন বা কার উদ্যোগে শুরু হয় সেই সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক সূত্রে বলা হয়েছে, হজরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম প্রথম পবিত্র কাবা শরিফ গিলাফ দিয়ে আচ্ছাদন করেন। তবে অধিকাংশ ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী, হিমিয়ারের রাজা তুব্বা আবু বকর আসাদ পবিত্র কাবা শরিফ গিলাফের মাধ্যমে আচ্ছাদনকারী প্রথম ব্যক্তি।
বাৎসরিক নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর হজের মৌসুমে কাবা শরিফে স্বর্ণখচিত কুরআনিক ক্যালিগ্রাফির নতুন কালো গিলাফ পরানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও বৃহস্পতিবার হজের দিন কাবা শরিফে নতুন গিলাফ বা কিসওয়া পরানো হয়।
বৃহস্পতিবার ১৬০ জন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ কারিগর ও প্রযুক্তিবিদ পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করে নতুন গিলাফ পরানোর কাজে অংশগ্রহণ করেন। এ প্রক্রিয়াটি প্রতি বছর ৯ জিলহজ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
কিসওয়া তৈরিতে সাধারণত প্রায় ২৪ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা ৬ পয়েন্ট ৪ মিলিয়ন ইউ এস ডলার ব্যয় হয়। বাইরের দিকে ৬৭৫ কিলোগ্রাম খাঁটি কালো সিল্ক এবং ভেতরের দিকে সবুজ রেশম দিকে তৈরি করা হয় কালো রঙের গিলাফ।
পবিত্র কুরআনের আয়াগুলি কাপড়ের উপর সেলাই করতে ১২০ কেজি স্বর্ণ ও ১০০ কেজি রূপার সুতা ব্যবহার করা হয়। ৪৭ খণ্ডে বিভক্ত এ গিলাফে কাবার শরিফের চারদিক আবৃত করে দেয়া হয়।
প্রতি বছরের এ দিনটিতে হজে অংশগ্রহণকারীরা আরাফাতের ময়দানে হজের আনুষ্ঠানিকতায় মগ্ন থাকেন। আর পবিত্র কাবা শরিফ নতুন কিসওয়ায় সজ্জিত হয়। হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করে আসা হাজিরা দেখতে পান নতুন গিলাফে সজ্জিত পবিত্র কাবা শরিফ।
আর পুরোনো গিলাফকে টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন দেশের ইসলামিক স্কলার, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাষ্ট্রপ্রধানদের উপহার হিসেবে দেয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।