আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একজনের হাতে হাতুড়ি অন্যজনের হাতে শাবল। শরীরের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এই হাতুড়ি শাবল দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করছিলেন তারা।
কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ কিংবা নিছক রাগ ও ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তারা এটা করছিলেন না। ডাচ নাগরিক এই যমজ ভাই ক**রোনায় হতাশা কাটাতে একটি প্রজেক্টের অধীনে এই গাড়ি ভাঙচুর করছিলেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এই ভ্রাতৃদ্বয়ের নাম স্টিভেন ও ব্রায়ন কিজার।
ক**রোনায় বিরক্তি ও হতাশা কাটাতে কারস্মাশ প্রজেক্টে অংশ নিয়ে তারা হাতুড়ি,শাবল দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর কর্মসূচিতে অংশ নেন।
রয়টার্সের খবর অনুসারে, নেদারল্যান্ডে মধ্যডিসেম্বর থেকে রেস্টুরেন্ট, বার এবং অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে। সরকার করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আগামী ১৪ জানুয়ারী পর্যন্ত এই লকডাউন থাকবে।
কারস্মাশ প্রজেক্টে অংশ নেওয়া যমজ ভাইদের অন্যতম ব্রায়ান বলেন, এসব দিনগুলোতে আমাদের কোনো কাজ নেই। নিজেদের মালিকানাধীন বার’টি বন্ধ রয়েছে। এ কারণে হতাশা দূর করতে আমরা গাড়ি ভাঙচুর করতে মনস্থির করি।
আমস্টারডামের কাছে এই কারস্মাশ প্রজেক্ট চালাচ্ছেন মার্লিন বসুউজা। তিনি বলেন, ক্লায়েন্টরা জীবনের প্রতিচ্ছবি স্প্রে দিয়ে পেইন্ট করার পর পছন্দমতো গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।
তিনি বলেন, গাড়ি ভাঙচুরের আগ মুহূর্তে আমরা তাদের চোখ বন্ধ করতে বলি। তাদের বলা হয়, তোমাদের পা মাটিতে রয়েছে, শরীরের প্রতিটি ধমনীতে শক্তি অনুভব কর, গাড়ি চূর্ণবিচূর্ণ করে জীবন থেকে রাগ ও হতাশা বের করে দাও।
কারস্মাশ প্রজেক্টের কয়েক মাইল দূরে হেগ শহরের দক্ষিণে, ভোকাল প্রশিক্ষক জুলি স্কট বেলাভূমিতে চিৎকার (স্ক্রিচ অ্যাট দ্য বিচ) কর্মসূচি পরিচালনা করছেন। এই কর্মসূচিরও লক্ষ্য, করোনায় অলস বসে থাকা মানুষদের শারীরিক অবসাদ থেকে মুক্তি দেওয়া।
এই কর্মসূচিতে সাগরে গর্জন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের মুখোমুখি হয়ে ক্লায়েন্ট রোজমারিজন কার্দিজ লাফিয়ে উঠে চিৎকার করতে থাকেন। হাসি থামিয়ে দম বন্ধ হওয়া পর্যন্ত তিনি এই চিৎকার করেন।
রোজমারিজন বলেন, আপনি শুধু ‘হোআ’ বলে চিৎকার করতে পারেন, সুতরাং শুরু করুন।
এই ক্লায়েন্ট বলেন, সাগরের বিশালতায় আপনার অন্য কিছু ভাববার সুযোগ নেই। আপনার ধ্বনি সাগরে চলে যায় এবং সেখান থেকে আর ফিরে আসে না। এটা একপ্রকার মুক্তির উপলব্ধি।
সূত্র: রয়টার্স
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।