জুমবাংলা ডেস্ক: হবিগঞ্জ জেলায় বছরের প্রথম দিনে বই উৎসব কর্মসূচি না থাকলেও জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ করা হয়েছে। নতুন বই পাওয়ার আনন্দ বিরাজ করছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে। নতুন বই পাওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে কে কার আগে বই পাবে এ নিয়েও উৎসাহের কমতি ছিলনা কোথাও কোথাও।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ জানান, শনিবার সকাল থেকে শহরের সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বিকেজিসি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও হবিগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান প্রধান অতিথি হিসেবে নতুন বই বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানগুলোতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি রফিকুল আলম, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল। জেকেএন্ডএইচকে হাইস্কুলে স্কুলের সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসাবে বই বিতরণ করেন।
শহরের উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ করা হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছিলনা কোন আনুষ্ঠানিকতা। তবে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি বছরের ন্যায় বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলমগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান। বক্তৃতা করেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর জাহির মিয়া তালুকদার, এডভোকেট আবু জাহির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান, সাইদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান মুরাদ, ডা. মুখলেছুর রহমান, এনাম মিয়া প্রমুখ।স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া জানান, তার স্কুলের চাহিদা অনুযায়ী সকল বই বরাদ্ধ পেয়েছেন।
জেলা শিক্ষা কর্মতর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, এবার প্রাথমিক পর্যায়ে জেলার বইয়ের চাহিদা ১৭ লক্ষ ২হাজার ৫৬৮। ইতোমধ্যে ৮৫ শতাংশ বই পেয়েছি। অন্য বইও পেয়ে যাব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে বলে নির্ধারিত সময়ের মাঝেই নতুন বই বিতরণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বই পাওয়ার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার মিটিং করা হয়েছে। ডেলিভারি সমস্যার কারণে এখনও সকল বই পৌঁছায়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই বইগুলো পৌঁছে যাবে।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্যই উৎসব হয়নি। তবে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ জানান, আমরা চাহিদার ৬০ শতাংশ বই বরাদ্দ পেয়েছি। অবশিষ্ট বই দ্রুতই পাব বলে প্রত্যাশা করছি। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।