৩০ মাইল প্রস্থের হরমুজ প্রণালী বিশ্ব রাজনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ প্রণালী এতটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় যে, বৈশ্বিক পরাশক্তি দেশগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণ এখানে রাখতে চায়। আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে কেন এ প্রণালীকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বাণিজ্যের জন্য হরমুজ প্রণালীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পণ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সামুদ্রিক অঞ্চলের গুরুত্বই সবচেয়ে বেশি। জাহাজে করে বিশাল পরিমাণ পণ্য এ প্রণালী হয়ে বিশ্বের নানা দেশে পৌঁছে যায়।
হরমুজ প্রণালী ব্যতীত পারস্য উপসাগরের সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগের আর কোনো রাস্তা খোলা নেই। পারস্য উপসাগরের আশেপাশের ৮টি দেশ প্রণালীর উপর প্রতিদিন নির্ভর করে থাকে।
পারস্য উপসাগরের আশেপাশের দেশগুলোতে অনেক বেশি খনিজ তেল মজুদ রয়েছে। কাজেই তেল বাণিজ্যের বড় একটা অংশ নির্ভর করে হরমুজ প্রণালীর উপরে।
হরমুজ প্রণালীর আশেপাশের দেশে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস মজুত রয়েছে। এ অঞ্চল থেকে কাতার সবথেকে বেশি এলএনজি গ্যাস রপ্তানি করে থাকে।
হরমুজ প্রণালী অনেক সরু হয় বলে জাহাজ চলাচলে যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য জাতিসংঘ দুইটি লেনের ব্যবস্থা করেছে। পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী দেশের জীবাশ্ম জ্বালানি হরমুজ প্রণালী হয়ে চীনে প্রবেশ করে। চীন এ অঞ্চল থেকে ৪৫ ভাগ জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি করে থাকে।
জাপানের ৪৮ ভাগ তেল এবং গ্যাস এর চাহিদা মেটানো হয় হরমুজ প্রণালী দিয়ে আসা পণ্যের মাধ্যমে। দক্ষিণ কোরিয়ার তেল এবং গ্যাসের ৩০ শতাংশের মতো চাহিদা মেটানো হয় ওই অঞ্চল থেকে।
কাজেই হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে এসব দেশের অবস্থা শোচনীয় হয়ে দাঁড়াবে। জ্বালানি রপ্তানিকারক সব দেশ ওই সময়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে এবং এর বাজে ফলাফল ভোগ করতে হবে পুরো বিশ্বকে।
এ প্রণালী নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্ব পরাশক্তিগুলো অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছে। এজন্য ইরান ব্যতীত আশেপাশের দেশে বিদেশী শক্তির সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।