স্পোর্টস ডেস্ক: নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। শুক্রবার রাতে (১০ ডিসেম্বর) কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে শেষ আটে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
তবে, এই ম্যাচে আলবেলেস্তেদের জয়ের পাশাপাশি আলোচনায় রেফারির দেখানো হলুদ কার্ড।
এই ম্যাচে মোট ১৮টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্টোনিও মাতেউ লাহোজ।
তাই, স্বভাবতই ম্যাচ শেষেও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় খেলোয়াড়দের। এ প্রশ্ন এড়াতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
রেফারির প্রতি নিজের অসন্তোষ জানিয়ে মেসি বলেন, “‘রেফারি সম্পর্কে কথা বলতে চাই না। মানুষ দেখেছে কী হয়েছে। ফিফার এটা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। যে নিজের কাজটা ভালোভাবে জানে না, এত গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে তাকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত না।রেফারির কারণেই অতিরিক্ত সময়ে খেলা পৌঁছেছে। সে সব সময় আমাদের বিপক্ষে ছিল। এমনকি যে গোলটি দিয়ে সমতায় ফিরেছে ওরা, সেটাও ফাউল ছিল না।”
ম্যাচ জেতার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মেসি বলেন, “অনেক আনন্দ, অনেক খুশি লাগছে। ম্যাচটা অতিরিক্ত সময় কিংবা পেনাল্টিতে যাওয়ারই কথা ছিল না। আমাদের ভুগতে হতো এরপর। কিন্তু আমরা বেরিয়ে এসেছি, যেটা দারুণ।”
টাইব্রেকারে দুটি শট ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনার নায়ক বনে যাওয়া এমিলিয়ানো মার্টিনেজও রেফারির আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মার্টিনেজ বলেন, “তিনি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বাজে রেফারি। তিনি খুবই জেদি। তাকে কিছু বললে তিনি খুবই বাজেভাবে এর উত্তর দেন।”
খেলায় রেফারি মোট ১৬টি হলুদ কার্ড দেখান ফুটবলারদের। যার মধ্যে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা পান ৮টি এবং নেদারল্যান্ডসের ফুটবলাররা পান ৮টি হলুদ কার্ড। এছাড়া, ম্যাচ চলাকালে আর্জেন্টাইন কোচিং স্টাফের ওয়াল্টার সামুয়েল এবং কোচ স্কালোনিকে হলুদ কার্ড দেখান তিনি। হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়দেরও। এ ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসিও।
মূল ম্যাচের পাশাপাশি টাইব্রেকারের সময়ও হলুদ কার্ড দিতে বেশ আগ্রহী ছিলেন তিনি। পেনাল্টি শুটআউটের সময় নেদারল্যান্ডসের ডামফ্রিসকে ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান। এ সময় নোয়া ল্যাংও হলুদ কার্ড দেখেন।
নেদারল্যান্ডস-আর্জেন্টিনা ম্যাচের প্রথম থেকেই ফাউলের বাঁশি বাজিয়ে গিয়েছেন মাতেউ। পুরো ম্যাচে ৪৮ বার ফাউলের জন্য বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি।
২০০৬ বিশ্বকাপে পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে রেফারি ১৬টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। যা এতদিন রেকর্ড হিসেবে ছিল।
২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংলিশ রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েব ১৪টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ম্যাচে যা ছিল রেকর্ড।
তবে, কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে সেসব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড লেখালেন অ্যান্টোনিও মাতেউ লাহোজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।