জুমবাংলা ডেস্ক : যতদিন আবাসিক হলগুলোতে অবৈধ ও বহিরাগতরা অবস্থান করবে ততদিন উচ্ছেদ অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করি ভর্তি পরীক্ষার পর একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
রবিবার দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ছাত্রদের দাবিগুলো আমরা মেনে নিয়েছি। তাদের সঙ্গে প্রয়োজনে আবার আলোচনা করব। আমরা চাই ভর্তি পরীক্ষার পর একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়, সেই চেষ্টা থাকবে। আশা করি শিক্ষার্থীরা আমাদের সহযোগিতা করবেন।
ভিসি বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা সেন্সিটিভ ইস্যু। তারপরেও শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে হবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাই বুয়েটে রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে সাহস পেয়েছি। ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তার স্বার্থেই পরীক্ষার্থীদের হলে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান বুয়েটের উপাচার্য।
হলে হলে অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ভিসি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছি। যতদিন পর্যন্ত অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের উচ্ছেদ করা না যাবে ততদিন এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পি’টিয়ে হ’ত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় হ’ত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হ’ত্যাকাণ্ডে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিরা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
এদিকে হলে অভিযান চালিয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ও বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক এবং আহসান উল্লাহ হলে ছাত্রলীগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত রুম সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
বুয়েটের হলে অবৈধভাবে অবস্থানকারী ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘সব প্রভোস্টরা শনিবার থেকে অবৈধদের উচ্ছেদের কাজ শুরু করেছেন। প্রায় ৯০ ভাগ ছাত্র যারা অবৈধভাবে ছিলেন তাদের সিটগুলো ফাঁকা হয়েছে। বাকিগুলোও ফাঁকা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘গতকাল হলের কয়েকটি রুম সিলগালা করা হয়েছে। হলগুলোতে বৈধ ছাত্রদের থাকার জন্য নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, এরপর কেউ হলে থাকলে সে অবৈধ। ৯ টার্ম একজন ছাত্র হলে থাকতে পারেন। আর পোস্ট গ্রাজুয়েটদের জন্য একটি হল রয়েছে, সেখানে চার টার্ম থাকা যায়। প্রভোস্ট অনুমতি দিলে ছয় টার্ম পর্যন্ত অবস্থান করতে পারেন।’
বুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিচালক বলেন, ‘হলগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে গত দুইদিনে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আবরার হ’ত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অধিকাংশ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। সরকার এ বিষয়ে খুবই সিরিয়াস। তদন্তও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করি, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আস্থা ফিরে আসবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।