জুমবাংলা ডেস্ক : খুলনার কয়রা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকায় হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তারা স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ মেরামত করতে সেখানে জড়ো হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে কয়রা উপজেলার ১১টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। সেই পানি এখনো সরে যায়নি। এরমধ্যে উপজেলার ২নং কয়রা গ্রামের স্লুইসগেট সংলগ্ন বেড়িবাঁধ মেরামতের লক্ষ্যে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার সকালে গ্রামবাসী জড়ো হন।
তারা বেড়িবাঁধ মেরামত শেষ করে বেলা ১১টার দিকে বাঁধ সংলগ্ন হাঁটুপানির মধ্যে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
বেড়িবাঁধ ভাঙনের দুইপাশে এভাবে দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একটি জামাতের ইমাম ছিলেন উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আ. খ. ম. তমিজ উদ্দিন এবং অপরটির উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবির। জামাতে অংশ নেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য ঢালী আক্তারুজ্জামান, শেখ রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবির রাইজিংবিডিকে বলেন, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে গ্রামের লোকজন সমস্যায় ছিলেন। যে কারণে কয়েকশত লোক মিলে ভোর থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামত শুরু করেন।
‘‘পরে কাজ শেষে বেলা ১১টার দিকে আমরা সবাই মিলে ঈদের দুটি জামাত আদায় করি। এতে গ্রামের লোকজন অংশ নেন।’’
গত ২০ মে প্রবলগতিতে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ঝড়ে কয়রা উপজেলার ১১টি স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে কয়রা সদর, উত্তর বেদকাশি, দক্ষিণ বেদকাশি, মহারাজপুর ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। গাছপালা, কাঁচা ঘরবাড়ি, রাস্তা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।