জুমবাংলা ডেস্ক : হাঁড়িভাঙা আমের মুকুলে স্বপ্ন বুনছেন উত্তরের চাষিরা। ইতিমধ্যে এ আম ঘোষিত হয়েছে জিআই পণ্য হিসেবে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হাঁড়িভাঙ্গা আম বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ায় আনন্দিত এই অঞ্চলের মানুষ। তাই মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিকরা।
এ দিকে গত বছরের চেয়ে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। সময় সংবাদের করা প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত-
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের পদাগঞ্জ এলাকার আম বাগান মালিক লুৎফর রহমান। এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান করেছেন। কলেজ পড়ুয়া ছেলে মতিন মিয়াকে নিয়ে আম গাছ পরিচর্যায় যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। পর্যাপ্ত আমের মুকুল আসায় বাম্পার ফলনের আশা তার।
মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের আম বাগান মালিক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমের মুকুল এবার ভালোই আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। হাঁড়িভাঙ্গাসহ আমের জন্য বিখ্যাত। সঠিক দাম পেলে লাভবান হবো। তবে লোকসান নেই।’
লুৎফর রহমানের মতো হাজারো মালিকের এখন ব্যস্ততা বাগানে বাগানে। তারা বলছেন, ‘এবারে রোগবালাই কম এবং মুকুলও এসেছে বেশি। ফলে গেল বছরের তুলনায় দ্বিগুণ লাভের আশা তাদের।’
রাণীপুকুর এলাকার মিনজারুল ইসলাম বলেন, ‘এবার আমের ভালো মুকুল এসেছে। গত বছরের চেয়ে বেশি। সঠিক পরিচর্যা করলে ভালো ফলন হবে। আশা করছি আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে লাভবান হওয়া যাবে।’
ফলন ঠিক রাখতে বাগানিদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৬ হাজার ১৮৯ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। এ অঞ্চলে এখন জনপ্রিয় হাঁড়িভাঙা আমসহ অন্যান্য আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই হাঁড়িভাঙ্গা আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এজন্য দেশে-বিদেশে এই আমের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট এবং নীলফামারী জেলার মধ্যে রংপুরে আম চাষ বেশি হয়। কারণ রংপুর জেলার হাঁড়িভাঙা আম অনেক জনপ্রিয়।
উল্লেখ্য, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় চলতি মৌসুমে হাঁড়িভাঙা আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩৮ হাজার মেট্রিক টন। রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় হাঁড়িভাঙা আমের গাছ রয়েছে দুই হাজার ৫৫৬ হেক্টর জমিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।