জুমবাংলা ডেস্ক : উচ্চ আদালতের আদেশের পর সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের দুই ভাতিজিকে তাদের বাবা মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের বাসায় উঠিয়ে দিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে গুলশান থানা পুলিশ। সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, গুলশান থানার ওসি রাত ৯টা ৪০ মিনিটে টেলিফোনে অবগত করেন যে, তিনি আদালতের আদেশ প্রতিপালন করে মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশ্বেরা মোস্তফাকে গুলশান-২-এর ৯৫ নম্বর রোডের ৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের বাড়িতে উঠিয়ে দেন এবং বাড়ির সামনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন।
এদিকে সোমবার রাতে মুশফিকা মোস্তফা বলেন, পুলিশের সহায়তায় আমরা রাত সোয়া ৯টার দিকে বাড়িতে ঢুকেছি। ঢুকতে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। তিনি জানান, তারা দুই বোন এক পাশে এবং তাদের বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুর অপর পাশের রুমে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে তাদের দেখা হয়নি।
মুশফিকা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ১৯৮৪ সালে তার মাকে নিয়ে বাবা গুলশানের এই বাসাতেই সংসার শুরু করেছিলেন। তাদের জন্ম এই বাড়িতে। ২০০৫ সালে তাদের মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। পরে আঞ্জু কাপুর নামে এক ভারতীয়কে তাদের বাবা বিয়ে করেন। তিনি একাই এখন এই বাড়ির ভোগদখল করছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
১ নভেম্বর পর্যন্ত ওই বাসায় দুই বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গুলশান থানার ওসিসহ ১ নভেম্বর দুই মেয়ে এবং ১০ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ওই বাড়িতে থাকা আঞ্জু কাপুরকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। আদালতের আদেশ নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
গৃহকর্তার মৃত্যুর পর বাড়ির মালিকানা নিয়ে বিরোধে তার দুই মেয়ে অবস্থান নিয়েছেন বাড়ির সামনে। দুই বোনের দাবি- বাড়ির দখল তাদের বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুরের হাতে। তিনি কিছুতেই ওই বাড়িতে তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। ১০ অক্টোবর মোস্তফা জগলুলের মৃত্যু হয়। মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ পেশায় পাইলট ছিলেন। ভাইবোনের মধ্যে শুধু সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশে নেই। দু’দিন ধরে বাড়ির সামনে অবস্থান নেন মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা। তারা বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।