আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে মহাকাশযানের নিয়মিত একটি পরীক্ষা ছিল বলে জানিয়েছে। এতে ওয়াশিংটনে উদ্বেগ দেখা দেওয়ার পাশাপাশি মার্কিন গোয়েন্দারা রীতিমত ‘চমকে গেছেন’ বলেও জানানো হয়।
চীন গত আগস্টে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে ‘ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ পত্রিকা প্রাথমিকভাবে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝৌ লিজিয়ান সোমবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, গত আগস্টে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র গোপনে পৃথিবীর কক্ষপথ ভ্রমণ করেনি। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন ধরনের মহাকাশযান প্রযুক্তি যাচাই করে দেখার জন্য জুলাইয়ে একটি নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এটি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না, এটি একটি মহাকাশযান ছিল। মহাকাশযান ব্যবহারের খরচ কমানোর জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ছিল। অতীতে অনেক দেশ একই ধরনের পরীক্ষা চালিয়েছে।
এছাড়াও ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনটি ভুল কিনা জানতে চাইলে লিজিয়ান উত্তরে বলেন, ‘হ্যাঁ।’
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক দ্রুত গতির। যার মানে এ ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো আরও কঠিন। চীনের পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ বাড়তে থাকার মধ্যেই তাদের এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ওই খবর আসে।
ফিনান্সিয়াল টাইমস সূত্রে জানা গেছে, হাইপারসনিক উচ্চ গতির ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা আগস্টে হলেও তা গোপন রাখা হয়েছিল।
প্রসঙ্গগত, চীন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ কমপক্ষে পাঁচটি দেশ হাইপারসনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। তবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের গতির চেয়ে পাঁচগুণ বেশি গতিসম্পন্ন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।