গত বছরের জুলাই মাসে চীন পরমাণু বোমা বহন করতে পারে এরকম হাইপারসনিক গাইড ভেহিকেল এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। পরীক্ষাটি সফল হওয়ায় আমেরিকা সহ পুরো পশ্চিমা বিশ্ব হতভম্ব হয়ে পড়েছে।
চায়নার মিডিয়া প্রতিনিয়তক খবর প্রকাশ করছে যে বেইজিং হাইপারসনিক মিসাইল গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক দূর পর্যন্ত চলে আসতে সক্ষম হয়েছে। এখন হাইপারসনিক অস্ত্র ব্যবহার করার সময় গ্রাউন্ড কমিউনিকেশন আগের থেকে আরও বেশি নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠবে।
চীনের সংবাদ মাধ্যমে আরো বলা হয় পশ্চিমা বিশ্ব এ সফল পরীক্ষার ফলে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছে। এখন থেকে হাইপারসনিক মিসাইল শব্দের থেকে ২০ গুণ বেশি দ্রুত গতিতে ছুটতে পারবে। মাটিতে অবস্থান করেই এই হাইপারাসনিক ভেহিকেল এর গতি সহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
চীনের একটি জার্নালে এই মিসাইল পরীক্ষার সফলতার বিষয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনাকে Big Breakthrough হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
পূর্বে হাইবাসনিক মিসাইল পরীক্ষার ক্ষেত্রে যোগাযোগ স্থাপনে সমস্যা হতো। বর্তমানে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। চীনের মিলিটারি সিক্স জি টেকনোলজি ব্যবহার করে সফলভাবে টার্গেট ঠিক করে হামলা করতে প্রস্তুত।
যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে গ্রাউন্ড স্টেশন, মহাকাশের স্যাটেলাইট এবং সমুদ্রের জাহাজকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে হাইপারসনিক প্লাটফর্ম থেকে তথ্য আদান-প্রদান আগের থেকেও সহজ হয়ে গেছে।
চীনের মিলিটারি এখন বিশ্বের যেকোন জায়গায় টার্গেট স্থাপন করে হামলা করতে প্রস্তুত। একই সাথে খুব দ্রুত তথ্য আদান প্রদান করতেও সক্ষম তারা। আমেরিকা এখন চীন এবং রাশিয়ার ভয়ংকর হাইপারসনিক মিসাইল ঠেকানোর জন্য নিজেদের ডিফেন্স ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।