নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মিঠা পানির জলাভূমি হাকালুকি হাওর। ২৩৮টি বিল নিয়ে এই হাওর গঠিত। সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত হলেও হাকালুকি হাওরের প্রায় অর্ধেক পড়েছে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি হাওরটি বছরের বিভিন্ন মৌসুমে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে। এ হাওরের পশ্চিমে ভাটেরা পাহাড় এবং পূর্বে পাথারিয়া পাহাড় হাকালুকির সৌন্দর্য বাড়িয়েছে দ্বিগুণ।
পুরো হাওর দর্শনের জন্য রয়েছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার। সেসব ওয়াচ টাওয়ারে চড়ে হাওরের রূপলাবণ্য দর্শন করতে পারেন অনায়াসে। অথবা হাওরের বুকে জেগে উঠা জলাবন বা সোয়াম ফরেস্টে নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।
শীতকালে পরিযায়ী পাখির বিচরণে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো হাওর এলাকা। এই সময় প্রায় ২০০ প্রজাতির বিরল অতিথি পাখি আসে এই হাওরে। শীতকালে পাখির কলকাকলিতে নতুন ছন্দ পায় হাকালুকি হাওর। তাছাড়া, সারা বছরই দেশীয় নানা প্রজাতির পাখির আনাগোনা দেখা যায় হাকালুকি হাওরে।
বর্ষাকালে আবার নতুন রূপ লাভ করে হাকালুকি হাওর। চারদিকে অথই পানি, তার মধ্যে মাঝিদের নৌকা—এই দৃশ্য হাকালুকিকে দেয় নতুন শোভা। নীল আকাশের সাথে জলরাশির মিতালি বিমোহিত করে পর্যটকদের। আর এসব নজরকাড়া দৃশ্য দেখতে প্রতি বছর মানুষ ছুটে চলে হাকালুকির পানে। বর্ষায় হাকালুকি হাওর দেখলে মনে হবে, এ যেন মহাসাগর। যেদিকে চোখ যায় শুধু জলের হাতছানি। চোখে পড়ে জলের বুকে দণ্ডায়মান হিজল, তমালসহ নানা জলজ বৃক্ষ। গাছের ডালে অচেনা পাখির আনাগোনা। পৃথিবীর বৃহৎ এ জলাধার অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের ভ্রমণযাত্রার ষোলকলা পূর্ণ করতে পারে।
শুষ্ক মৌসুমে অন্য সৌন্দর্য ফুটে ওঠে হাকালুকির। তখন হাওরের বুকে কেবল সবুজ প্রান্তর। যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই কেবল সবুজের সমারোহ। ফলে হাকালুকির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে শুষ্ক মৌসুমেও ভিড় করেন পর্যটকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।