Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home হাছান মাহমুদের পরিবারের একাউন্টে ৭৫০ কোটি টাকা লেনদেন
    জাতীয় স্লাইডার

    হাছান মাহমুদের পরিবারের একাউন্টে ৭৫০ কোটি টাকা লেনদেন

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কFebruary 10, 2025Updated:February 10, 20258 Mins Read
    Advertisement

    কাশেম মাহমুদ, বাসস : দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন আত্মগোপনে থাকা সাবেক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ। স্ত্রী-কন্যা, পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ নামে-বেনামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য দেখে রীতিমতো চোখ যেন কপালে উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মককর্তাদের।

    হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ ও তাদের নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ৭০টি ব্যাংক হিসাব পাওয়া গেছে। সেসব একাউন্টগুলো থেকে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।

    এই ব্যাংক হিসাবগুলোতে বর্তমানে স্থিতি আছে ২৩ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ২০২ টাকা। দেশের মেঘনা ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউিরিটি ইসলামি ব্যাংক, মিউচ্যুাল ট্রাস্ট ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, পুবালী ব্যাংকসহ আরো কয়েকটি ব্যাংকে এই লেনদেন হয়েছে। যে সব ব্যাংকে হিসাবগুলো পাওয়া গেছে সেগুলোর মধ্যে গ্লোবাল ইসলামি ব্যংকে ১৬টি, মেঘনা ব্যাংকে ১৭টি, এবি ব্যাংকে নয়টি, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে দু’টি, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকে ১৮টি জনতা ব্যাংকে একটি, ইউনিয়ন ব্যাংকে চারটি এবং পুবালী ব্যাংকে একটি একাউন্ট।

    অথচ হাছান মাহমুদ ও স্ত্রীর নুরান ফাতেমার আয়কর ফাইলের সঙ্গে এসব আয় সঙ্গতিপূর্ণ নয়। হিসাব কষে দেখা যায়, আয়কর ফাইলের তথ্যের চেয়ে বর্তমানে খুঁজে পাওয়া সম্পদ অর্জনের হার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গুণ বেশি।

    হাছান মাহমুদের স্ত্রী কন্যা ছাড়াও তার দু’ভাই এরশাদ মাহমুদ এবং খালেদ মাহমুদের নামেও বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ গড়েছেন। তাদের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জমি দখল, বন বিভাগের পাহাড় দখল, বাংলো বাড়ি ও বাগান বাড়ি নির্মাণ, পুকুর কেটে মৎস্য চাষ, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় অট্টালিকা ভবন ও ফ্ল্যাট এর মালিকানা, আবুধাবির আজমান এলাকায় বিশাল জায়গা নিয়ে রিসোর্ট তৈরির মতো বিভিন্ন অভিযোগ জমা হচ্ছে।

    হাছান মাহমুদ ও পরিবারের সদস্যদের নামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান টিম। টিমের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে, উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উপ-পরিচালক কমলেশ মন্ডল, সহকারী পরিচালক আল আমিন, সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম। তারা দেশে ও দেশের বাইরে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে। যা যাছাই বাছাই করা হচ্ছে।

    হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের শাসনামলে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় ২৪ এর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আত্নগোপনে চলে যান।

    দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হাছান মাহমুদ মন্ত্রী থাকা অবস্থায় স্ত্রী নুরান ফাতেমাকে জাহাজ ব্যবসায়ী হিসেবে লাইসেন্স পেতে সহায়তা করেছেন। একটি কন্টেইনার জাহাজসহ দু’টি জাহাজ নির্মাণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামের এক জাহাজ তৈরি প্রতিষ্ঠান এফএমসি গ্রুপ’র পক্ষ থেকে সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এর স্ত্রী নুরান ফাতেমাসহ সাতজনের নামোল্লেখ করে ১৯জনের বিরুদ্ধে জাহাজ নির্মাণের চুক্তির টাকা পরিশোধ না করা এবং হামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পানিতে জাহাজ ভাসানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

    দুদক অনুসন্ধানকালে অভিযোগ পেয়েছে, হাছান মাহমুদ বন ও পরিবেশ মন্ত্রী থাকাকালীন রাতারাতি নিজের স্ত্রীকে জাহাজের লাইসেন্স দিয়ে জাহাজ ব্যবসায়ী বানিয়ে দেন। জাহাজ তৈরির জন্য রূপালী ব্যাংক থেকে ১২ কোটি টাকা গ্রহণ করলেও তা পরিশোধ না করায় এখন সুদাসলে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা হয়েছে।

    হাছান মাহমুদের একমাত্র কন্যা নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের জন্ম ২০০০ সালের ৭ অক্টোবর। সেই হিসেবে জুমাইনার বয়স ২৪ বছর ৪ মাস। জুমাইনার নামে মেঘনা ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউিরিটি ইসলামি ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকে একক নামে একাউন্ট রয়েছে চারটি। এসব একাউন্টে লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা রয়েছে ৯৬ লাখ টাকা। দি ডেইলি পিপলস লাইফ নামে একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রকাশক নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ। পত্রিকাটির সম্পাদক হিসাবে রয়েছেন আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া। পিতা হাছান মাহমুদ তথ্যমন্ত্রী থাকার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই পত্রিকার ডিক্লারেশন নেয়া হয়েছে। দি ডেইলি পিপলস লাইফ পত্রিকার নামে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের বনশ্রী শাখায় একটি একাউন্ট খোলা হয়েছে ২০২৩ সালের ৫ জুন। পত্রিকার নামে খোলা এই একাউন্টে লেনদেন হয়েছে ৭২ লাখ ১৬ হাজার ৫১৬ টাকা। জমা রয়েছে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৪ টাকা। অথচ আয়কর প্রদানের কোনো নথির তথ্য পাওয়া যায়নি।

    দুদকের তদন্তে হাছান মাহমুদের নামে ছয়টি ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। সবগুলো একাউন্ট খোলা হয়েছে মেঘনা ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক চট্টগ্রামে বিভিন্ন ব্রাঞ্চে। হিসাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- এবি ব্যাংক চট্টগ্রামের পোর্টকানেক্টিং শাখার একাউন্ট নম্বর- ৪১২৭-০৭১৬৬০২৮২, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক, চট্টগ্রামের নবাব সিরাজদৌলা রোড় শাখার একাউন্ট নম্বর-১১১১০০০৫৫৮৪৭৮ এবং ১১১১০০০০২৪৯২৩। মেঘনা ব্যাংক, আগ্রাবাদ শাখার হিসাব নম্বর- ২১০১১২১০০০০১২৬৮, ২১০১৩০৫০০০০০৫৫৯, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক জুবলী রোড় মঅখার হিসাব নম্বর -০০১৮০৩৩০০০৮১৭৪।

    এছাড়াও হাছান মাহমুদের স্ত্রী নুরান ফাতেমা’র নামে ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে ১১টি। কন্যা নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের নামে চারটি, হাছান মাহমুদ ও স্ত্রী নুরান ফাতেমার যৌথ নামে দু’টি, নুরান ফাতেমা ও সালাহউদ্দিন যৌথ নামে একটি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস’র ব্যবসায়িক পার্টনার দেখানো হয়েছে হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নুরান ফাতেমাকে। বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস’র নামে দু’জনের যৌথ একাউন্ট রয়েছে ১৯টি। মেসার্স বিসমিল্লাহ সার্ভিসেস’র নামে একাউন্ট রয়েছে আটটি, দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একাউন্ট পাঁচটি, মেসার্স বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস জে.এ.এস লি. নামে একটি, মেসার্স বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড হোল্ডিংসের নামে ছয়টি একাউন্ট রয়েছে।

    অনুসন্ধানে দেখা যায়- বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস’কে আগে পরে শব্দ ব্যবহার করে অনেকগুলো একাউন্ট খোলার প্রতারনা করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেডের নামে তিনটি একাউন্ট ও সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের নামে দু’টি একাউন্টে লেনদেন।

    বাসস’র হাতে আসা ব্যাংক হিসাবে দেখা যায়, আলোচ্য ব্যাংক হিসাবের মধ্যে ১১টি একাউন্ট থেকে ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪৯ টাকা সম্পুর্ণ তুলে নিয়ে একাউন্ট শূন্য করেছেন। এর মধ্যে দেখা যায়, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক চট্টগ্রামের মেহেদিবাগ শাখায় খোলা দু’টি একাউন্টের মধ্যে ১৩২০০০০০৪৩৪৭৭ একাউন্ট টি ৪১ দিন পর ক্লোজড করে ২ কোটি ৯৪ হাজার ৭২২ টাকা তুলে নেয়া হয়। একই শাখার ১১১১০০০০২০২৪৬ একাউন্টটি খোলার ৪৭ দিন পর ১ কোটি টাকা তুলে নিয়ে হিসাব ক্লোজড করা হয়।

    সর্বশেষ নির্বাচনী হলফনামায় হাছান মাহমুদ বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকানভাড়া খাতে বছরে আয় ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, কৃষিখাতে ১ লাখ ৩০ হাজার, ব্যাংক ও অন্যান্য খাত থেকে সম্মানী বাবদ আয় ১ লাখ ২২ হাজার ২৬৩ টাকা উল্লেখ করেন। সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা বাদ দিলে হাছান মাহমুদের বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। আর ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বার্ষিক আয় ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এবার তার নামে ঋণ দেখানো হয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকে তার ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। জামানত বিহীন ঋণ আছে ৯১ লাখ টাকার। ভাইদের কাছ থেকে ঋণ রয়েছে ১২ লাখ টাকার।

    দুদকের অনুসন্ধান টিম সূত্র জানান, চট্টগ্রামের দেওয়ানবাজার এলাকায় একটি ১৫ তলা ভবনসহ তিনটি বহুতল ভবন রয়েছে হাছান মাহমুদের। একই এলাকার দেওয়ানজি পুকুর পাড় এলাকায় রয়েছে স্ত্রীর নামে বহুতল ভবন। ঢাকার পিংক সিটিতে রয়েছে তিনটি বাড়ি। প্লট ও বাড়ি আছে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাতেও। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে পুরো একটি এলাকা কিনে করেছেন বাড়ি, হোটেলসহ বহু স্থাবর সম্পদ। রাজধানীর চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) পাশে শতকোটি টাকা মূল্যের একটি বাণিজ্যিক প্লট কিনেছেন তিনি।

    নিজ নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় জমি দখলেরও অভিযোগ আছে সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ১৬ দশমিক ১৯ একর পাহাড় দখল করে আবাসন প্রকল্প করেন। চট্টগ্রামের খুলশী, বাকলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন মৌজায় রয়েছে তার কয়েক একর সম্পত্তি। বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন চট্টগ্রামের সিরাজুদ্দৌলা সড়কেও। বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও এফডিআর। বাড়ি কিনেছেন কানাডায়। চট্টগ্রামের মাতারবাড়ীতে কয়লাবিদ্যুৎ ও গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজের নানা ঠিকাদারি তার নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এসবের কোনোটিই তার আয়কর বিবরণী বা হলফনামায় উল্লেখ নেই।

    জানা গেছে, হাছান মাহমুদ মাছ ধরার ট্রলার নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালে রূপালী ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। ১১ বছরের বেশি সময় ধরে ১ টাকাও পরিশোধ করেননি। এরপরও নিয়মিত আছে তার ঋণ। প্রভাব খাটিয়ে অভিনব কায়দায় কিস্তি পরিশোধের সময় এলেই গ্রেস পিরিয়ড তথা পরিশোধ শুরুর সময় বাড়িয়ে নিয়েছেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সুদ মওকুফ করে নিয়েছেন কয়েক দফা। এখন ব্যাংকের পাওনা সাড়ে ১৯ কোটি টাকা। এদিকে সরকার পতনের পর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ ও তার স্ত্রী ফাতেমাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ১২জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম নগরীর হিলভিউ হাউজিং সোসাইটিস্থ এফ.এম.সি গ্রুপের হেড ক্লার্ক ফিরোজ আহমদ। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ড. হাছান মাহমুদের স্ত্রী নুরেন ফাতেমা, ২য় আসামি ড. হাছান মাহমুদ, তার দুইভাই খালেদ মাহমুদ, এরশাদ মাহমুদ এবং অন্যান্য আসামিরা হলেন- ইমরুল করিম রাশেদ, দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস’র জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ নুর উদ্দিন ও হিসাব বিভাগ প্রধান এরাদুল হক।

    মামলায় অভিযোগ আনা হয়, চট্টগ্রাম নগরীর হিলভিউ হাউজিং সোসাইটিস্থ এফ.এম.সি গ্রুপ নামে জাহাজ নির্মাণকারী একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রীর মালিকানধীন দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস’র একটি কন্টেনার ও একটি ফিশিং জাহাজ নির্মাণের চুক্তি হয়। কিন্তু আসামিরা বল প্রয়োগ করে কোন ব্যয় বহন না করে একটি ফিশিং জাহাজ ডেলিভারি করে নেয়। পরে অরেকটি কন্টেইনার জাহাজও নির্মাণ ব্যয় বহন না করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডেলিভারি নিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে আসামিরা দলবদ্ধভাবে জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটিতে প্রবেশ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে এবং অফিস কক্ষ ভাঙচুর করে ২ লাখ টাকা ক্ষতি সাধনের অভিযোগ করা হয়।

    দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হাছান মাহমুদ বন ও পরিবেশ মন্ত্রী থাকাকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় বন বিভাগের ২১২ একর জমি জোর দখল করে সেখানে বাগান বিলাস নির্মাণ করেছেন। গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বন বিভাগ সে সব জমি পুনরায় দখলে নিয়ে বাগান বাড়ির স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করেছে।

    দুদক জানিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে পাওয়া অন্যান্য সম্পদ জব্দের ব্যাপারেও সম্পূরক তথ্য আদালতকে অবহিত করা হবে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় ৭৫০ একাউন্টে কোটি টাকা পরিবারের মাহমুদের লেনদেন স্লাইডার হাছান
    Related Posts
    Dhanmondi

    চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে গেল যুবক, ভিডিও ভাইরাল

    July 19, 2025
    হাতিরঝিলে ড্রোন শো

    গণঅভ্যুত্থান স্মরণে হাতিরঝিলে ড্রোন শো

    July 18, 2025
    UN human rights mission

    বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

    July 18, 2025
    সর্বশেষ খবর
    স্টক মার্কেটে নতুনদের গাইড

    স্টক মার্কেটে নতুনদের গাইড: শুরু করার সহজ উপায়

    ইনসুরেন্স পলিসি

    ইনসুরেন্স পলিসি বাছাই করার টিপস: আপনার সুরক্ষিত জীবনের প্রথম ধাপ

    এ্যানি

    মুজিববাদের কবর যদি দিতে হয়, গোপালগঞ্জে যাওয়ার দরকার নেই: এ্যানি

    Jamaat

    রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা

    Dhanmondi

    চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে গেল যুবক, ভিডিও ভাইরাল

    গোপালগঞ্জের ঘটনায় আ. লীগ তওবা করার সুযোগ হারিয়েছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

    Nahid Islam

    কোন চাঁদাবাজদের কাছে দেশ বর্গা দেয়া হবে না: নাহিদ

    Rizvi

    গোপালগঞ্জ কি ভারতের কোনো অঙ্গরাজ্য? প্রশ্ন রিজভীর

    পাপিয়ার মন্তব্য ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে সমালোচনার ঝড়

    astronomer ceo andy byron wife megan viral video

    Astronomer CEO Andy Byron’s Wife Megan Drops His Last Name After Viral Coldplay Video

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.