জুমবাংলা ডেস্ক: ৩৫ বছর আগে থেকে কুমিল্লায় চাষ হচ্ছে কাজু বাদাম। সঠিকভাবে পরিচর্যা হলে কাজু বাদাম বাগান থেকে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার রাজেশপুর ইকো পার্কের ভেতরে রয়েছে হাজারো গাছের কাজু বাদামের বাগান। বাগানের বাদামগুলো প্রতিবছর টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হয়।
রাজেশপুর ইকো পার্ক সদর দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব জোড় কানন ইউনিয়নের রাজেশপুর, জুগিরপুস্করিনী, জয়নগর, নির্ভয়পুর, গোয়াল গাঁও এবং হাসিবপুর মৌজায় অবস্থিত। এটি কুমিল্লা জেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের থেকে ২ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ৬০০ একর।
বাগানে গিয়ে দেখা যায়, শাল গাছের সাথে আঁকাবাঁকা কাজু বাদাম গাছের সারি। কোনোটির বাদাম এখনো কাঁচা। কোনোটি পেকে গেছে। ঠিকাদার তার ফল সংগ্রহ করছেন। পাকা রঙিন ফলের গা থেকে ভেসে আসে মিষ্টি ঘ্রাণ। ফলের উপরের অংশ থেকে বাদাম পাওয়া যায়, নিচের অংশ থেকে জুস, ভিনেগার ও মসলা তৈরি করা হয় বলে জানা যায়। স্থানীয় বন কর্মকর্তা বনকর্মীদের বাগানের নিরাপত্তার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন।
কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির পরিচালক ডা. আবু মোহাম্মদ নাঈম বলেন, কাজু বাদাম হৃৎপিণ্ডের শক্তি বৃদ্ধি করে। হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ ও হজমে সাহায্য করে। এছাড়া ডায়বেটিস রোগীর জন্য উপকারী ও অবসাদ দূর করে। রাজেশপুর ইকোপার্কের কাজু বাদামের বাগানটি সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হলে এর থেকে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়।
রাজেশপুর ইকো পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, এখানে সীমানা প্রাচীর নেই। অনেকে কাজু বাদামের গুরুত্ব বোঝে না। না বুঝে নষ্ট করে ফেলেন। বনকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাগানটি ৩৫ বছর ধরে ফল দিয়ে যাচ্ছে। বনকর্মীরা প্রণোদনা পেলে বাগানটিতে ফলের পরিমাণ বাড়বে। এর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় আরো বাড়বে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা দুই বছর ধরে সদর, সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কাজু বাদামের চাষ করেছি। কম্বোডিয়া, ভারত ও ভিয়েতনামের বীজ লাগিয়েছি। এতে ভালো ফল আসবে। তা রপ্তানিও করা যাবে। আমাদের কিছু গাছে ফুল এসেছে। আশা করছি এক দুই বছরের মধ্যে ভালো ফল পাবো।
কম খরচে বেশি লাভ : অনাবাদি জমিতে ভুট্টা চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।