আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পুলিশের নিক্ষেপ করা কাঁদানে গ্যাসের শেলে জখম আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের ডান হাত কেটে বাদ দিতে হয়েছে। আইনজীবী ফওয়াজ শাহিন এ কথা জানিয়েছেন। এর আগে গত রবিবার আলিগড়ে র্যাফ ঢুকে বিক্ষোভরত ছাত্রদের বেধড়ক পেটায়। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস।
ওই আইনজীবী আরো জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর জখম হয়েছেন। কিন্তু ধরপাকড়ের ভয় পরিচয় জানাতে চান না তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের আশপাশের এলাকা আজ বুধবারও উত্তপ্ত। জামালপুর ও দোধপুরে অশান্তি বেড়ে যাওয়ার কারণে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে গতকালের চেয়ে আজ পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক বলে দাবি করেছে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন।
আলিগড়ের এসপি অভিষেক বলেন, শান্তি বজায় রাখতে মসজিদ থেকে ঘোষণাও করছি আমরা। স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে যে, আইন নিজেদের হাতে তুলে নিলে তাদের কোনো লাভ হবে না।
গত রবিবার বিক্ষোভের সময় যে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোতোয়ালির সামনে বিক্ষোভ দেখান হাজার পাঁচেক মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আফিফুল্লা খান জানান, শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিতে কর্তৃপক্ষ জেলাশাসককেও অনুরোধ করেছিলেন। গভীর রাতে সেই ২৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সোমবার সকাল থেকেই হোস্টেল খালি করতে শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, সোমবার রাতের মধ্যে আবাসিক ১১ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে সাড়ে নয় হাজার শিক্ষার্থী হোস্টেল ছেড়ে চলে গেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।