জুমবাংলা ডেস্ক: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার হাপানি হাওরের বিলে আজ পলো বাইচ উৎসবে মেতে উঠেছিলেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
শনিবার সকাল থেকে বিকালে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ও উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসি গ্রামের হাপানি বিলে এই পলো বাইচ উৎসব দেখা গেছে। বিলের পাড়ে মাছ ধরা দেখতে ঢল নামে হাজারো মানুষের।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালের পর শ্রীরামসি গ্রামের হাপানি বিলে আর পলো বাওয়া হয়নি। দীর্ঘ ৫ বছর পর গ্রামের পঞ্চায়েতের নির্ধারিত দিনে এ বিলে এবাার পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব হয়।
উৎসবে অংশ নেন শ্রীরামসিসহ আশপাশের গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মাছ শিকারী। তবে, হাপানি বিলের দু’পাড় জুড়ে পলো বাওয়া দেখতে ভিড় জমান কয়েক হাজার উৎসুক জনতা। পলোতে ধরা পড়ে বোয়াল, শোল, মাগুর ও গজারসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ।
শ্রীরামসি গ্রামের আব্দুল আলী বলেন, ২০১৭ সালে এ বিলে মাছ ধরে ছিলাম। গত ৫ বছর পর বিলে মাছ কম থাকায় পলো বাওয়া হয়নি। এবছর বিলে অনেক মাছ পড়েছে। আমরা ৫ ভাই মিলে বোয়াল, শোলসহ বিভিন্ন জাতের মাছ শিকার করেছি। অনেক আনন্দ লাগছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুব রহমান জানান, যুগ-যুগ ধরে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি পলো বাওয়া উৎসবে স্থানীয় হাপানি বিলে পালিত হয়ে আসছিল। গত ৫ বছর ধরে বিলে পানি সংকট ও মাছের আকাল থাকায় পলো উৎসব হয়নি। এবারের বন্যায় বিলে পানি ও মাছ থাকায় গ্রামের পঞ্চায়েতি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেন কয়েক হাজার মানুষ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরিন ও বিশিষ্ট লোকগীতি গবেষক সুবাস উদ্দিন বলেন, পলো বাইচ আমাদের সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। এবার বন্যা হওয়ায় হাওরের খাল বিলে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। এতে হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির পলোবাইচ উৎসব জেলার বিভিন্ন প্রান্তে উপভোগ করা যাবে।-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।